চলচ্চিত্র নির্মাতা তারিক সালেহের বহুল প্রতীক্ষিত রাজনৈতিক থ্রিলার 'রিপাবলিকের ঈগলস' (Eagles of the Republic) কানাডার টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (TIFF) তার বিশ্ব প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এটি সালেহের কায়রো ট্রিলজির শেষ কিস্তি, যা 'দ্য নাইল হিলটন ইনসিডেন্ট' এবং 'বয় ফ্রম হেভেন' (কায়রো কনস্পিরেশন) এর সাফল্যের ধারাবাহিকতায় নির্মিত। চলচ্চিত্রটি ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে TIFF-এর ৫০তম আসরে প্রদর্শিত হবে।
এরপর এটি ২০২৫ সালের নভেম্বর মাসে স্টকহোম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবেও নির্বাচিত হয়েছে। SF Studios কর্তৃক নর্ডিক অঞ্চলে পরিবেশিত এই ছবিটি ২০২৫ সালের শরৎকালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে। 'রিপাবলিকের ঈগলস' চলচ্চিত্রটি মিশরের চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যেকার প্রতারণা এবং প্রচারণার জটিল আখ্যান তুলে ধরে। এতে অভিনয় করেছেন ফারেস ফারেস, লিনা খুদরি এবং জিনেব ট্রিকি। ফারেস ফারেস, যিনি সালেহের পূর্ববর্তী দুটি চলচ্চিত্রেও মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন, এবার একজন জনপ্রিয় অভিনেতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন যিনি কর্তৃপক্ষের কোপে পড়ে একটি প্রচারণামূলক চলচ্চিত্রে কাজ করতে বাধ্য হন। এই ঘটনা তাকে ক্ষমতার অন্দরমহলে টেনে নিয়ে যায় এবং এক বিপজ্জনক খেলায় জড়িয়ে ফেলে।
তারিক সালেহ, যিনি মিশরীয় বংশোদ্ভূত সুইডিশ পরিচালক, তার কায়রো ট্রিলজির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করেছেন। 'দ্য নাইল হিলটন ইনসিডেন্ট' ২০১৭ সালে সানডান্স চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র্যান্ড জুরি পুরস্কার লাভ করে এবং 'বয় ফ্রম হেভেন' ২০২২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা চিত্রনাট্যের পুরস্কার জিতে নেয়। এই দুটি চলচ্চিত্রই মিশরের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় এলিটদের সমালোচনা করে, যা 'রিপাবলিকের ঈগলস'-এও অব্যাহত রয়েছে।
এই চলচ্চিত্রটি কেবল মিশরের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েই নয়, বরং এটি বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্র শিল্পের উপর রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রচারণার বিষয়গুলোকেও তুলে ধরে। ফারেস ফারেস, যিনি এই ছবির অন্যতম প্রধান অভিনেতা, তিনি বলেছেন যে সালেহের চিত্রনাট্য অসাধারণ এবং চরিত্রগুলো অত্যন্ত জটিল, যা অভিনেতা এবং দর্শক উভয়কেই চ্যালেঞ্জ করে। TIFF-এ এই চলচ্চিত্রটির প্রিমিয়ার সুইডিশ সিনেমার জন্য একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা, যা আন্তর্জাতিক মঞ্চে তাদের শক্তিশালী উপস্থিতি নিশ্চিত করে। স্টকহোম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে এর উদ্বোধনী প্রদর্শনীও এই ছবির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে। এই চলচ্চিত্রটি কেবল একটি রাজনৈতিক থ্রিলারই নয়, বরং এটি শিল্প, ক্ষমতা এবং সত্যের মধ্যকার জটিল সম্পর্ককেও অন্বেষণ করে।