লা পাম্পার সাংস্কৃতিক মানচিত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা হিসেবে নবম জেনারেল পিকো জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসব সম্প্রতি (আগস্ট ৭-১৩, ২০২৫) সফলভাবে শেষ হয়েছে। অ্যাসোসিয়াও ইতালিয়ানা XX দে সেপ্টেমব্রো দ্বারা আয়োজিত এই উৎসবে ৪০টিরও বেশি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়, যার মধ্যে "চিনে ই এস্কুলা" (Cine y Escuela) কার্যক্রমটি প্রায় ৩,০০০ শিক্ষার্থীকে আকৃষ্ট করে। জাতীয় ফিচার ফিল্ম প্রতিযোগিতায় ক্লারিসা নাভাসের "এল প্রিন্সিপে দে নানওয়া" (El Príncipe de Nanawa) সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার লাভ করে। প্যারাগুয়ে-আর্জেন্টিনা সীমান্তে এক কিশোরের জীবন নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটি পূর্বে ভিশন ডু রিয়েল (Visions du Réel) চলচ্চিত্র উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রশংসা অর্জন করেছিল। জাতীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে, লিয়ান্দ্রো নিকোলাস জেরবাটোর "¿Dónde está mi amigo Yaré?" (¿Dónde está mi amigo Yaré?) সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার পায়। আঞ্চলিক প্রতিভাদেরও সম্মান জানানো হয়, যেখানে ফ্লোরিয়ানা লাজ্জানিও এবং মারিয়ানা লোম্বার্ডের "এল রিও সিম্প্রে ফো উম কোর" (El río siempre fue un color) সেরা আঞ্চলিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জিতে নেয়। এই উৎসবের সাফল্য আয়োজকদের আগামী বছরের জন্য (আগস্ট ৬, ২০২৬) দশম সংস্করণের ঘোষণা দিতে উৎসাহিত করেছে, যা আর্জেন্টিনা এবং আঞ্চলিক সিনেমার প্রচারের ধারা অব্যাহত রাখবে।
ক্লারিসা নাভাসের "এল প্রিন্সিপে দে নানওয়া" চলচ্চিত্রটি শুধু এই উৎসবেই নয়, এর পূর্বে সুইজারল্যান্ডের ভিশন ডু রিয়েল (Visions du Réel) উৎসবেও গ্র্যান্ড জুড়ি পুরস্কার জিতে আন্তর্জাতিক মঞ্চে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। চলচ্চিত্রটি প্রায় ১০ বছর ধরে অ্যাঞ্জেল নামের এক কিশোরের জীবনকে অনুসরণ করে, যে প্যারাগুয়ে এবং আর্জেন্টিনার সীমান্তে বেড়ে উঠছে। এই দীর্ঘমেয়াদী কাজটি তার পরিচয় গঠন, প্রেমের সন্ধান এবং স্থানীয় অর্থনীতির বাস্তবতার মধ্যে একটি গভীর চিত্র তুলে ধরেছে। জেনারেল পিকো জাতীয় চলচ্চিত্র উৎসবটি কেবল চলচ্চিত্র প্রদর্শনের একটি প্ল্যাটফর্মই নয়, এটি একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলার প্রয়াসও। উৎসবের পরিচালক হোসে লুইস অ্যাঞ্জেলুচ্চি (José Luis Angelucci) জানান যে, এই বছর দর্শক সংখ্যা পূর্বের সকল রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে, যা উৎসবের ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তা এবং আঞ্চলিক চলচ্চিত্রের প্রতি মানুষের আগ্রহের প্রতিফলন। "চিনে ই এস্কুলা" (Cine y Escuela) কার্যক্রমের মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে সিনেমার প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তোলাও এই উৎসবের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।