কানাডার কিংবদন্তী কমেডিয়ান জন ক্যান্ডির জীবন ও কর্ম নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র "জন ক্যান্ডি: আই লাইক মি" সম্প্রতি টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (টিআইএফএফ) প্রদর্শিত হয়েছে। কলিন হ্যাঙ্কস পরিচালিত এবং রায়ান রেনল্ডস প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রটি গত ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ তারিখে রয় টমসন হলে অনুষ্ঠিত ৫০তম টিআইএফএফ-এর উদ্বোধনী চলচ্চিত্র হিসেবে বিশ্ব মঞ্চে আত্মপ্রকাশ করে।
এই তথ্যচিত্রটি জন ক্যান্ডির কমেডিয়ান হিসেবে উত্থান থেকে শুরু করে "প্লেনস, ট্রেনস অ্যান্ড অটোমোবাইলস" এবং "স্প্ল্যাশ"-এর মতো তাঁর আইকনিক চলচ্চিত্রগুলোর পেছনের গল্প তুলে ধরেছে। এতে বিরল আর্কাইভ ফুটেজ, পারিবারিক ভিডিও এবং টম হ্যাঙ্কস ও বিল মারে-এর মতো তারকাদের সাক্ষাৎকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা ক্যান্ডির চিরস্থায়ী আকর্ষণ এবং মানবিকতাকে উদযাপন করে।
"প্লেনস, ট্রেনস অ্যান্ড অটোমোবাইলস" চলচ্চিত্রের একটি স্মরণীয় উক্তি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে, এই চলচ্চিত্রটি ক্যান্ডির ব্যক্তিগত সংগ্রাম এবং তাঁর কমেডি প্রতিভার গভীর দিকগুলোও অন্বেষণ করেছে। রায়ান রেনল্ডস, যিনি এই তথ্যচিত্রের নির্বাহী প্রযোজক, বলেছেন যে জন ক্যান্ডি তাঁর মৃত্যুর তিন দশক পরেও কতটা জনপ্রিয়, তা তিনি হয়তো নিজেও জানতেন না। রেনল্ডস আরও জানান যে ক্যান্ডি তাঁর কাজের মাধ্যমে যে ভালোবাসা ও আনন্দ রেখে গেছেন, তা চিরস্থায়ী।
তথ্যচিত্রটিতে ক্যান্ডির পরিবার এবং সহকর্মীদের কাছ থেকে পাওয়া অমূল্য তথ্য ও স্মৃতিচারণ রয়েছে। বিল মারে, যিনি ক্যান্ডির "স্ট্রাইপস" সহ-অভিনেতা ছিলেন, তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, "জন ক্যান্ডি সম্পর্কে কী সঠিক ছিল বা কী ভুল ছিল তা আমি বলতে পারি না। কিন্তু সে আমার বন্ধু ছিল।"
এই তথ্যচিত্রটি বিশ্বব্যাপী প্রাইম ভিডিওতে ১০ অক্টোবর, ২০২৫ থেকে উপলব্ধ হবে, যা এই প্রিয় শিল্পীর প্রতি একটি মর্মস্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি। জন ক্যান্ডি, যিনি ১৯৫০ সালের ৩১ অক্টোবর টরন্টোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন, তিনি তাঁর কমেডি প্রতিভার জন্য পরিচিত ছিলেন। তাঁর কর্মজীবনের শুরু হয়েছিল টরন্টোর সেকেন্ড সিটি কমেডি ট্রুপের মাধ্যমে, যা তাঁকে এসসিটিভি-তে নিয়ে আসে এবং পরে হলিউডে আন্তর্জাতিক খ্যাতি এনে দেয়। "স্প্ল্যাশ" (১৯৮৪) চলচ্চিত্রে টম হ্যাঙ্কসের ভাইয়ের চরিত্রে তাঁর অভিনয়কে তাঁর ব্রেকথ্রু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ক্যান্ডি তাঁর কর্মজীবনে ৪০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এবং ১৯৯৪ সালে মাত্র ৪৩ বছর বয়সে মেক্সিকোতে একটি চলচ্চিত্রের শুটিং চলাকালীন হার্ট অ্যাটাকে মারা যান।