একটি ফেডারেল আপিল আদালত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ই. জিন ক্যারলের দায়ের করা ৫ মিলিয়ন ডলারের দেওয়ানি রায় বহাল রেখেছে। এই রায় ১৯৯০-এর দশকে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যৌন নির্যাতন এবং মানহানির অভিযোগের বিষয়ে জুরিদের সিদ্ধান্তকে সমর্থন করে।
ক্যারলের জীবন এবং তার আইনি লড়াই এখন একটি নতুন তথ্যচিত্র "ই. জিন ক্যারল বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্প"-এর বিষয়বস্তু। এই চলচ্চিত্রটি, যা ৩ অক্টোবর, ২০২৫-এ মুক্তি পাবে, তার সাক্ষ্যদানের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ক্যারল এবং তার আইনি দলকে চিত্রিত করার জন্য বিশিষ্ট অভিনেত্রীদের ব্যবহার করবে। এই তথ্যচিত্রটি কেবল ক্যারলের আইনি সাফল্যকেই তুলে ধরে না, বরং তার ব্যক্তিগত জীবনকাহিনীকেও কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে। এটি ক্যারলের দীর্ঘস্থায়ী শক্তি এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতার চলমান আলোচনায় তার অবদানের উপর আলোকপাত করে।
রবার্ট গ্রিনওয়াল্ড পরিচালিত এই তথ্যচিত্রটি ব্রেভ নিউ ফিল্মস (Brave New Films) এর একটি প্রযোজনা। এতে ক্যাথরিন হ্যান, এলেন বার্স্টিন, লেক্সি আন্ডারউড এবং রেজিনা টেলর-এর মতো অভিনেত্রীরা ক্যারলের সাক্ষ্যকে জীবন্ত করে তুলেছেন। চলচ্চিত্রটি ক্যারলের সাহসী লড়াইকে তুলে ধরেছে, যা তাকে প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতন এবং মানহানির মামলায় জয়ী হতে সাহায্য করেছে, যার ফলে ট্রাম্পকে মোট ৮৮.৩ মিলিয়ন ডলার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
ক্যারলের আইনি দল, যার নেতৃত্বে ছিলেন রোবার্টা কাপলান, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দুটি মানহানির মামলায় জয়লাভ করেছে। প্রথম মামলায় ৫ মিলিয়ন ডলার এবং দ্বিতীয় মামলায় ৮৩.৩ মিলিয়ন ডলারের রায় আসে। এই রায়গুলো ট্রাম্পের মন্তব্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছিল, যা ক্যারলের সম্মানহানি করেছিল। ট্রাম্প এই রায়গুলোর বিরুদ্ধে আপিল করেছেন, তবে একটি আপিল আদালত ৫ মিলিয়ন ডলারের রায় বহাল রেখেছে এবং অন্য একটি আপিল প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এই তথ্যচিত্রটি কেবল ক্যারলের ব্যক্তিগত সংগ্রামের একটি চিত্রই নয়, বরং এটি ন্যায়বিচার এবং জবাবদিহিতার জন্য একজন ব্যক্তির অদম্য ইচ্ছাশক্তিরও প্রতীক। এটি দর্শকদের এমন এক নারীর গল্প বলবে যিনি প্রতিকূলতার মুখেও সত্যের জন্য লড়াই করেছেন এবং শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছেন।