১৯৮৮ সালের ক্লাসিক অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র 'Grave of the Fireflies' এখন বিশ্বব্যাপী দর্শকদের জন্য নেটফ্লিক্সে উপলব্ধ। স্টুডিও জিবলির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইসাও তাকাহাতার এই মর্মস্পর্শী সৃষ্টি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতার মধ্যে জাপানের দুটি শিশুর বেঁচে থাকার লড়াইকে চিত্রিত করে।
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে, রটেন টমেটোজে এর ১০০% রেটিং এবং মেটাক্রিটিক-এ ৯৪/১০০ স্কোর রয়েছে। রজার এবার্টের মতো সমালোচকরা এটিকে "সর্বকালের সেরা এবং সবচেয়ে শক্তিশালী যুদ্ধ চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি" হিসাবে অভিহিত করেছেন। চলচ্চিত্রটি তার গভীর আবেগপূর্ণ আখ্যান এবং যুদ্ধের মানবিক মূল্যের মর্মস্পর্শী চিত্রণের জন্য পরিচিত।
১৯৮৮ সালের ১৬ই এপ্রিল জাপানে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিটি হায়াও মিয়াজাকির 'My Neighbor Totoro'-এর সাথে একটি ডাবল ফিচার হিসেবে প্রদর্শিত হয়েছিল। যদিও এটি স্টুডিও জিবলির প্রাথমিক আর্থিক স্থিতিশীলতা সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল, তবে এটি দুটি চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুর মধ্যেকার গভীর বৈসাদৃশ্যকেও তুলে ধরেছিল।
পরিচালক ইসাও তাকাহাতা নিজে এটিকে প্রথাগত অর্থে "যুদ্ধবিরোধী চলচ্চিত্র" হিসেবে বর্ণনা করতে অনিচ্ছুক ছিলেন। বরং, তিনি একটি সংকটকালীন সময়ে মানুষের মিথস্ক্রিয়া এবং সামাজিক ব্যর্থতাগুলি অন্বেষণ করতে চেয়েছিলেন, যা তাঁর সময়ের তরুণদের মধ্যে এক ধরণের স্বার্থপরতা এবং বস্তুবাদিতার প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতার সমালোচনা করে। তিনি কেবল দুঃখ জাগানো নয়, বরং আত্ম-প্রতিফলন জাগানোর লক্ষ্য রেখেছিলেন।
যুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে জাপানের শিশুদের জীবন ও তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রামকে কেন্দ্র করে নির্মিত 'Grave of the Fireflies' বিশ্বজুড়ে নতুন প্রজন্মের দর্শকদের কাছে পৌঁছাচ্ছে, যা যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং মানবিক মূল্যবোধের এক শক্তিশালী বার্তা বহন করে।