গিয়েরমো ফ্রান্সেলা ও হাভিয়ের ভেইগা জনপ্রিয় শো 'এল হোরমিগুয়েরো'-তে থ্রিলার 'প্লায়া দে লোবোস' উন্মোচন করলেন
সম্পাদনা করেছেন: An goldy
বিখ্যাত আর্জেন্টাইন অভিনেতা গিয়েরমো ফ্রান্সেলা এবং স্প্যানিশ পরিচালক হাভিয়ের ভেইগা সম্প্রতি স্পেনের অত্যন্ত জনপ্রিয় টক শো 'এল হোরমিগুয়েরো'-তে অতিথি হিসেবে উপস্থিত হন। তাদের আগমনের মূল উদ্দেশ্য ছিল তাদের নতুন যৌথ চলচ্চিত্র 'প্লায়া দে লোবোস'-এর প্রচার করা। মনস্তাত্ত্বিক থ্রিলার এবং কমেডির মিশ্রণে তৈরি এই সিনেমাটি স্পেনের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ২০২৫ সালের ৫ই ডিসেম্বর। পাবলো মোতোস সঞ্চালিত এই অনুষ্ঠানটি তার বিশেষ সাক্ষাৎকারের বিন্যাস এবং অতিথিদের বিভিন্ন মজাদার কার্যকলাপের জন্য সুপরিচিত। এই পর্বে, তারা 'প্রতারণামূলক গল্প' নামক একটি খেলায় অংশ নেন, যেখানে দর্শকদের সামনে নিজেদের ব্যক্তিগত জীবনের কিছু গল্প তুলে ধরে কোনটি সত্যি আর কোনটি মিথ্যা, তা অনুমান করতে বলা হয়েছিল।
'এল হোরমিগুয়েরো' স্পেনের অন্যতম সর্বাধিক দর্শকপ্রিয় বিনোদনমূলক টেলিভিশন অনুষ্ঠান। এটি ২০১১ সাল থেকে Antena 3 চ্যানেলে প্রচারিত হচ্ছে, যদিও এর যাত্রা শুরু হয়েছিল ২০০৬ সালে Cuatro চ্যানেলে। এই স্প্যানিশ-আর্জেন্টাইন যৌথ প্রযোজনার চলচ্চিত্রটির চিত্রনাট্যকার এবং পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন হাভিয়ের ভেইগা। ফ্রান্সেলা ছাড়াও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন অভিনেতা দানি রোভিরার মতো তারকা। ছবির সমস্ত দৃশ্যায়ন ফুয়ের্তেভেন্টুরা দ্বীপে সম্পন্ন হয়েছে, যা ছবির কাহিনিতে এক বিশেষ স্থানীয় আবহ যোগ করেছে। এই গল্পটি এমন দুজন ভিন্ন মেরুর মানুষের মিলনকে কেন্দ্র করে, যারা সমুদ্র সৈকতে মুখোমুখি হন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার সময় ফ্রান্সেলা একটি ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা জানান, যা শুটিং শুরুর ঠিক আগে ঘটেছিল। তিনি বলেন যে ফুয়ের্তেভেন্টুরার অসংখ্য গোলচত্বর বা রিং রোড দেখে তিনি পথ হারিয়ে ফেলেন এবং একটি সড়ক দুর্ঘটনায় পড়েন। দুর্ভাগ্যবশত, বিপরীত দিক থেকে আসা একটি গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষ হয়, যার ফলে এয়ারব্যাগগুলো সক্রিয় হয়ে ওঠে। যদিও অভিনেতা এবং তার ভাই দুজনেই সামান্য আঘাত পেয়েছিলেন, তবে সৌভাগ্যক্রমে অভিনেতার মুখমণ্ডল অক্ষত ছিল। ভেইগার জন্য এটি ছিল পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে পরিচালকের অভিষেক। তিনি 'প্লায়া দে লোবোস'-কে বর্ণনা করেন এভাবে: হয় এটি প্রচুর থ্রিলার উপাদানযুক্ত কমেডি, অথবা এটি এমন এক থ্রিলার যা কমেডির ছদ্মবেশে রয়েছে। মিয়ামিতে ফ্রান্সেলাকে দেখার পরই ভেইগা তার সঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন।
চলচ্চিত্রটির মূল আখ্যান আবর্তিত হয়েছে মানু নামের এক ব্যক্তিকে ঘিরে, যিনি একটি বিচ বারে কাজ করেন। তার সঙ্গে ক্লাউস নামক এক পর্যটকের সংঘাত শুরু হয়, যিনি সৈকতের শেষ খালি লাউঞ্জারটি ছাড়তে রাজি হন না। এই সামান্য ঘটনাটি অপ্রত্যাশিত মোড় নিয়ে এক তীব্র দ্বন্দ্বে রূপ নেয়। ফ্রান্সেলা জোর দিয়ে বলেন যে ভালো গল্প থাকলে শিল্পীর সুরক্ষা নিশ্চিত হয়। তিনি বলেন, 'যখন এর পেছনে একটি ভালো গল্প থাকে, তখন আপনি সুরক্ষিত থাকেন।' যদিও ছবিটি নিয়ে এখনই বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না, তবে এটি কানারি দ্বীপপুঞ্জের মনোরম দৃশ্যের পটভূমিতে সংঘাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরবে বলে আশা করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, 'এল হোরমিগুয়েরো' অনুষ্ঠানটি ২০১১ সালে আন্তর্জাতিক 'এমি' পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিল। স্পেনে ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫-এ প্রিমিয়ারের পর, ছবিটি ২৬শে ফেব্রুয়ারি, ২০২৬-এ আর্জেন্টিনার পর্দায় মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে।
7 দৃশ্য
উৎসসমূহ
Antena3
okdiario.com
HOLA
LOS40
SOY DE CINE
OkDiario
INFORMACION
Película eCartelera
Heraldo de Aragón
Jaleo Press
El Debate
La Razón
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
