অস্কারজয়ী অভিনেতা ড্যানিয়েল ডে-লুইস আট বছর পর অভিনয়ে ফিরছেন। তাঁর নতুন ছবি 'অ্যানিমোন'-এর মাধ্যমে তিনি আবার ক্যামেরার সামনে আসছেন। এই ছবিটি পরিচালনা করছেন তাঁরই ছেলে রোনান ডে-লুইস। বাবা ও ছেলে মিলে ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন। ২০০৭ সালে 'দেয়ার উইল বি ব্লাড' ছবির জন্য অস্কার জেতার পর থেকে এই অভিনেতা তাঁর অভিনয় জীবনের বিরতি নিয়েছিলেন। তবে 'অ্যানিমোন' ছবিটি তাঁকে আবার অভিনয়ের জগতে ফিরিয়ে এনেছে।
'অ্যানিমোন' ছবিটি মূলত ভাই, বাবা ও ছেলের মধ্যকার জটিল সম্পর্ক নিয়ে নির্মিত। ছবিতে ড্যানিয়েল ডে-লুইস রে স্টোকার চরিত্রে অভিনয় করছেন এবং তাঁর estranged ভাই জেমে-র ভূমিকায় দেখা যাবে শন বিনকে। সামান্থা মর্টন এবং স্যামুয়েল বটমলিও এই ছবিতে অভিনয় করেছেন। ২০২৫ সালের নিউ ইয়র্ক ফিল্ম ফেস্টিভালে ছবিটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ৩ অক্টোবর, ২০২৫-এ সীমিত আকারে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পাবে এবং পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পাবে। ছবিটি ইতিমধ্যেই পুরষ্কারের মরসুমে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে।
ছবিটির গল্পে দেখা যাবে দুই বিচ্ছিন্ন ভাইয়ের পুনর্মিলন, যাদের সম্পর্ক বহু বছর আগের কিছু ঘটনা এবং জটিল অতীত দ্বারা প্রভাবিত। ড্যানিয়েল ডে-লুইস তাঁর ছেলের সঙ্গে ছবিটির চিত্রনাট্য সহ-রচনা করেছেন এবং রোনান ডে-লুইস এই ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছেন। ছবিটি প্রযোজনা করেছে ব্র্যাড পিটের প্ল্যান বি এন্টারটেইনমেন্ট এবং পরিবেশন করছে ফোকাস ফিচার্স।
ড্যানিয়েল ডে-লুইস তাঁর এই প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে বলেছেন যে তিনি আসলে অভিনয় থেকে অবসর নিতে চাননি, বরং তিনি অন্য কিছু কাজ করতে চেয়েছিলেন। তিনি আরও জানান যে 'ফ্যান্টম থ্রেড' (২০১৭) ছবিটি শেষ করার পর তিনি কিছুটা হতাশ বোধ করেছিলেন এবং ভেবেছিলেন যে তাঁর আর কিছু দেওয়ার নেই। কিন্তু ছেলের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ তাঁকে আবার অভিনয়ের জগতে ফিরিয়ে এনেছে। তিনি বলেন, 'আমি জানতাম যে রোনান ছবি তৈরি করতে থাকবে এবং আমি তা থেকে সরে যাচ্ছিলাম। আমি ভেবেছিলাম, যদি আমরা একসাথে কিছু করতে পারি এবং এটিকে এমনভাবে তৈরি করতে পারি যাতে এটি একটি বড় প্রযোজনার প্রয়োজনীয়তা না হয়, তবে তা কি সুন্দর হবে?' তাঁর ছেলে রোনান তাঁকে এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য রাজি করিয়েছেন, কারণ তিনি অন্যথায় ছবিটি পরিচালনা করবেন না।
এই ছবিটি ড্যানিয়েল ডে-লুইসের অভিনয় জীবনের একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা তাঁর ছেলের প্রতি ভালোবাসা এবং তাঁর শিল্পকলার প্রতি গভীর নিষ্ঠার প্রতিফলন।