আগামী ১৭ থেকে ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত অনুষ্ঠিতব্য ৩০তম বুচিওন আন্তর্জাতিক ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে (বিআইএফএফ) ৪২ বছর বয়সী অভিনেতা কাজুকি কাজুয়া প্রথমবার অংশগ্রহণ করতে চলেছেন। উৎসবের আয়োজকরা ২৮ তারিখে তাদের তালিকা ঘোষণা করেছে, যেখানে কাজুয়ার অংশগ্রহণের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
কাজুয়ার সাথে কোরিয়ার খ্যাতনামা অভিনেতা লি বিয়ং-হান, সং হাই-ক्यो, এবং কিম ইউ-জুং-ও উৎসবে যোগ দিচ্ছেন। বিআইএফএফ-এর একটি বিশেষ আকর্ষণ হলো 'অ্যাক্টরস হাউস' অনুষ্ঠানমালা, যেখানে প্রতিভাবান অভিনেতারা তাদের অভিনয় জীবন এবং পেশাগত অভিজ্ঞতা নিয়ে আলোচনা করেন। এই অংশটি দর্শকদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এবং প্রায়শই টিকিট দ্রুত শেষ হয়ে যায়। একটি টিকিটের মূল্য ১৫,০০০ ওন (প্রায় ১০ ডলার)।
কাজুয়া কিম ইয়ং-হোয়া পরিচালিত 'এক্সিট নং ৮' চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন, যা ২৯ তারিখে মুক্তি পাবে। বুচিওন আন্তর্জাতিক ফ্যান্টাস্টিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল এশিয়ার বৃহত্তম জেনার ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল হিসেবে পরিচিত, যা বিশ্বজুড়ে চলচ্চিত্র প্রেমী এবং পেশাদারদের আকর্ষণ করে। এই উৎসবটি কেবল নতুন প্রতিভার উন্মোচনই করে না, বরং বিভিন্ন ধারার চলচ্চিত্রের প্রসারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
বিআইএফএফ-এর এবারের আয়োজনটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি বিশ্ব চলচ্চিত্রের একটি মিলনমেলা। কাজুকি কাজুয়ার মতো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেতাদের উপস্থিতি উৎসবের গৌরব বৃদ্ধি করেছে। 'অ্যাক্টরস হাউস' একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম যেখানে দর্শকরা তাদের প্রিয় অভিনেতাদের কাছ থেকে সরাসরি শোনার সুযোগ পান, যা তাদের পেশাগত জীবনের অন্তর্দৃষ্টি এবং অনুপ্রেরণা প্রদান করে। এই ধরনের আলোচনা কেবল অভিনেতাদের জন্যই নয়, উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্যও অত্যন্ত মূল্যবান।
এই উৎসবের মাধ্যমে এশিয়ার চলচ্চিত্র শিল্প বিশ্ব মঞ্চে তার অবস্থান আরও সুদৃঢ় করছে। বিআইএফএফ-এর মতো আয়োজনগুলো বিভিন্ন দেশের নির্মাতাদের মধ্যে সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচন করে। কাজুয়ার অংশগ্রহণ কোরিয়ান চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক পরিচিতি বাড়াতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। উৎসবটি নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে তারা তাদের কাজ প্রদর্শন করতে এবং বিশ্ব মঞ্চে পরিচিতি লাভ করতে পারে। এই বছর উৎসবের লক্ষ্য হলো স্বতন্ত্র এবং পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্রগুলোকে আরও বেশি প্রচার দেওয়া, যা চলচ্চিত্র জগতে নতুনত্বের ধারা বজায় রাখতে সহায়ক হবে।