অস্কার-মনোনীত পরিচালক ড্যারেন কারোফস্কি তাঁর নতুন চলচ্চিত্র 'ক্যাচড স্টিলিং'-এর মাধ্যমে দর্শকদের ৯০-এর দশকের নিউ ইয়র্ক সিটির এক রোমাঞ্চকর অপরাধমূলক জগতে নিয়ে এসেছেন। এই চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অস্টিন বাটলার, যিনি হ্যাঙ্ক থম্পসন নামক এক প্রাক্তন বেসবল খেলোয়াড়ের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। হ্যাঙ্ক, যিনি বর্তমানে ব্রুকলিনে একজন বারটেন্ডার হিসেবে কাজ করেন, তার জীবনের মোড় ঘুরে যায় যখন সে তার প্রতিবেশীর বিড়াল দেখাশোনার দায়িত্ব নেয়। এই সাধারণ কাজটি তাকে রাশিয়ান মাফিয়া এবং দুর্নীতিগ্রস্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে এক বিপজ্জনক জালে জড়িয়ে ফেলে। কারোফস্কি, যিনি 'রিকোয়েম ফর এ ড্রিম' এবং 'ব্ল্যাক সোয়ান'-এর মতো তীব্র চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত, এই চলচ্চিত্রে অ্যাকশন, হাস্যরস এবং দ্রুত গতির মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। ছবিটি ৯০-এর দশকের গ্যাংস্টার কমেডির আত্মাকে ধারণ করে এবং এই ধারার পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত দেয়।
চলচ্চিত্রটিতে অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জো ক্রাভিটজ, যিনি ইভোন নামক এক নার্সের ভূমিকায় আছেন। এছাড়াও লিভ শ্রাইবার এবং ভিনসেন্ট ডি'ওনোফ্রিওকে দেখা যাবে অর্থোডক্স ইহুদি গ্যাংস্টার হিসেবে, এবং র্যাপার ব্যাড বানি (বেনিতো মার্টিনেজ ওকাসিও) এক ভীতিপ্রদ ক্লাব মালিকের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। নিউ ইয়র্ক সিটিতে চিত্রায়িত এই চলচ্চিত্রটি শহরের প্রাণবন্ত এবং বিশৃঙ্খল শক্তিকে ধারণ করেছে। 'ক্যাচড স্টিলিং' চলচ্চিত্রটি কেবল একটি অপরাধমূলক কাহিনীই নয়, এটি ১৯৯৮ সালের নিউ ইয়র্ক সিটির একটি প্রতিচ্ছবিও বটে। সেই সময়ে শহরের পরিবেশ, সংস্কৃতি এবং মানুষের জীবনযাত্রা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে, শহরটির সেই সময়ের রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট, যেমন মেয়র গুইলিয়ানির নীতি এবং জেন্ট্রিফিকেশন প্রক্রিয়া, চলচ্চিত্রের পটভূমিতে একটি বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে।
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছে। অনেকেই এর দ্রুত গতি, হাস্যরস এবং তারকাদের অভিনয়শৈলীর প্রশংসা করেছেন। বিশেষ করে, অস্টিন বাটলারের হ্যাঙ্ক থম্পসন চরিত্রে অভিনয় এবং তার শারীরিক ভাষা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। ব্যাড বানি, যিনি 'কলোরাডো' চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তার অভিনয়ও প্রশংসিত হয়েছে; পরিচালক কারোফস্কি বলেছেন যে এটি তার ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা অভিনয় ছিল যেখানে তিনি চরিত্রটিতে সম্পূর্ণভাবে মিশে যেতে পেরেছিলেন। 'ক্যাচড স্টিলিং' চলচ্চিত্রটি কেবল বিনোদনই দেয় না, এটি দর্শকদের সেই সময়ের নিউ ইয়র্ক সিটির একটি বাস্তবসম্মত চিত্রও উপহার দেয়।
চলচ্চিত্রটি ২৯শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।