চেক প্রজাতন্ত্রের চলচ্চিত্র একাডেমি ৯৮তম একাডেমি পুরস্কারের জন্য 'আমি সব নই যা আমি হতে চাই' (I'm Not Everything I Want to Be) তথ্যচিত্রটিকে সেরা আন্তর্জাতিক ফিচার ফিল্ম বিভাগে জমা দিয়েছে। ক্লারা তাসোভস্কি পরিচালিত এই ছবিটি ১৯৮০-এর দশকে প্রাগের আন্ডারগ্রাউন্ড এলজিবিটিকিউ+ দৃশ্যের চিত্রগ্রাহক লিবুশে জার্কোভিয়াকোভার জীবন ও কাজকে তুলে ধরেছে। ছবিটি কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে একটি গে ক্লাবের চিত্র ধারণ এবং পশ্চিম বার্লিনে তার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনাকেও কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। এই তথ্যচিত্রটি ইতিমধ্যেই বার্লিন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব এবং ফেস্টিভ্যাল ডু ন্যুভো সিনেমা সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে পুরস্কৃত হয়েছে।
জার্কোভিয়াকোভার কাজ, যা তার ব্যক্তিগত ডায়েরি এবং হাজার হাজার সাদাকালো ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে, তা সেই সময়ের এক ভিন্ন চিত্র তুলে ধরে। ছবিটি শুধু জার্কোভিয়াকোভার ব্যক্তিগত জীবনকেই নয়, বরং সেই সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকেও প্রতিফলিত করে। তাসোভস্কি এই ছবিটি তৈরি করেছেন জার্কোভিয়াকোভার ব্যক্তিগত ডায়েরি এবং প্রায় ৭০,০০০ ছবির বিশাল সংগ্রহ থেকে প্রায় ৩,০০০ ছবি ব্যবহার করে। ছবিটি শুধু জার্কোভিয়াকোভার জীবনের একটি প্রতিচ্ছবিই নয়, বরং এটি সেই সময়ের সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিলও বটে। কমিউনিস্ট শাসনের অধীনে এলজিবিটিকিউ+ সম্প্রদায়ের জীবনযাত্রা এবং তাদের সংগ্রামের চিত্র এই ছবিতে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। জার্কোভিয়াকোভা নিজে এই দৃশ্যের একজন সক্রিয় অংশীদার ছিলেন এবং তার ক্যামেরার মাধ্যমে সেই সময়ের অনেক গোপন মুহূর্তকে তিনি ধারণ করেছেন। তার এই সাহসী কাজ তাকে 'চেক প্রজাতন্ত্রের নান গোল্ডিন' হিসেবে পরিচিতি এনে দিয়েছে। অস্কারের জন্য সংক্ষিপ্ত তালিকা আগামী ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে ঘোষণা করা হবে এবং চূড়ান্ত মনোনয়ন ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রকাশ করা হবে। ৯৮তম একাডেমি পুরস্কার অনুষ্ঠান ২০২৬ সালের মার্চ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। এই ছবিটি ইতিমধ্যেই দেশীয়ভাবে 'চেক লায়ন' পুরস্কার জিতেছে, যা এর গুণগত মানের একটি বড় প্রমাণ।