আগামী ১১ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ পর্যন্ত নিউ ইয়র্ক সিটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নিউ ইয়র্ক ফ্যাশন উইক (NYFW) স্প্রিং/সামার ২০২৬ কালেকশন। এই বর্ণাঢ্য আয়োজনে প্রতিষ্ঠিত এবং উদীয়মান উভয় ধরনের ডিজাইনাররাই তাদের নতুন কাজ প্রদর্শন করবেন। ম্যানহাটনের বিভিন্ন স্থানে, যেমন স্টাররেট-লেহ বিল্ডিং, চেলসি পিয়ার্স এবং স্কাইলাইট ক্লার্কসন স্কোয়ার-এ এই ফ্যাশন উৎসবের আয়োজন করা হবে।
এই বছরের NYFW-তে প্রায় ৬০টিরও বেশি রানওয়ে শো এবং প্রেজেন্টেশন অনুষ্ঠিত হবে। এর পাশাপাশি, কিছু কালেকশন অনলাইনে এবং ব্যক্তিগত অ্যাপয়েন্টমেন্টের মাধ্যমেও উপস্থাপন করা হবে। এই সিজনে অংশগ্রহণকারী উল্লেখযোগ্য ডিজাইনারদের মধ্যে রয়েছেন আলটুজারা, এরিয়া, বেভজা, ক্যালভিন ক্লেইন কালেকশন, ক্রিশ্চিয়ান সিরিয়ানো, কলিনা স্ট্রাডা, সিনথিয়া রাউলি, জেসন উ কালেকশন, ক্যালামায়ার, কিড্রাড, ল্যাফায়েট ১৪৮, লাকোয়ান স্মিথ, লুয়ার, নরমা কামালি, প্রবাল গুরুং, স্যান্ডি লিয়াং, সার্জিও হাডসন, সিমখাই, টিবি, টড স্নাইডার, টোরি বার্চ, উলা জনসন, হু ডিসাইডস ওয়ার এবং জাঙ্কভ।
তবে, এই বছর NYFW-তে কিছু ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে। মার্ক জ্যাকবস এবং রালফ লরেনের মতো প্রভাবশালী ডিজাইনাররা তাদের কালেকশনগুলো অফিশিয়াল সময়সূচির বাইরে উপস্থাপন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মার্ক জ্যাকবস জুলাই মাসে নিউ ইয়র্ক পাবলিক লাইব্রেরিতে তার ফল ২০২৫ কালেকশন প্রদর্শন করেন, এবং রালফ লরেন এই অনুষ্ঠানের ঠিক আগে ১০ সেপ্টেম্বর তার স্টুডিওতে একটি ব্যক্তিগত প্রেজেন্টেশনের আয়োজন করবেন।
NYFW-কে আরও প্রাণবন্ত করতে, ফ্যাশন প্ল্যাটফর্ম KFN এবং কাউন্সিল অফ ফ্যাশন ডিজাইনার্স অফ আমেরিকা (CFDA) একটি নতুন পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এর আওতায়, ডিজাইনারদের জন্য ১০টি কাছাকাছি ভেন্যু বিনামূল্যে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে, যা একটি একক শোয়ের জন্য প্রায় এক মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত খরচ কমাতে সহায়ক হবে। এছাড়াও, NYFW এবার সাধারণ মানুষের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ব্র্যান্ডগুলো তাদের শো লাইভ-স্ট্রিম করছে, যা রকফেলার স্কাইস্ক্র্যাপারের নিচে একটি বড় পর্দায় প্রদর্শিত হচ্ছে। এটি NYFW-এর জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার একটি নতুন দিক।
স্প্রিং/সামার ২০২৬-এর এই আয়োজনটি আমেরিকান ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির বৈচিত্র্য এবং বিবর্তনকে তুলে ধরবে, যা ফ্যাশন উদ্ভাবন এবং সৃজনশীলতার একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। এই সিজনে 'ট্রান্সফরমেটিভ টিল', 'ইলেকট্রিক ফুশিয়া', 'ব্লু অরা', 'অ্যাম্বার হেজ', এবং 'জেলি মিন্ট' রঙের ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাবে, যা প্রকৃতির সাথে প্রযুক্তির মেলবন্ধনের ইঙ্গিত দেয়। এছাড়াও, পরিবেশ-বান্ধব উপকরণ এবং টেকসই ফ্যাশনের উপর জোর দেওয়া হবে, যা ফ্যাশন শিল্পের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা প্রদান করবে।