আগস্ট ৮, ২০২৫ তারিখে, পৃথিবী একটি শক্তিশালী ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সম্মুখীন হয়েছে, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে অন্যতম তীব্র। এই ঝড়টি ৮ই আগস্ট রাতে শুরু হয়ে ১১ই আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। সূর্যের একটি করোনা হোল থেকে নির্গত প্লাজমা পৃথিবীর দিকে ধাবিত হওয়ার ফলেই এই ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে। ৫ই আগস্ট তারিখে ঘটা সৌর শিখা এই প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছে। এই ধরনের সৌর কার্যকলাপ, যেমন করোনাল মাস ইজেকশন (CME), যা বিলিয়ন বিলিয়ন টন প্লাজমা এবং চৌম্বক ক্ষেত্র বহন করে, পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্রকে প্রভাবিত করে। এই ঘটনাটি প্রায় ১১ বছরের সৌর চক্রের একটি অংশ, যা বর্তমানে তার সর্বোচ্চ সক্রিয় পর্যায়ে রয়েছে।
ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলি প্রায়শই মেরু অঞ্চলে অরোরা বা মেরুজ্যোতির মতো সুন্দর দৃশ্য তৈরি করে, যা সাধারণত দেখা যায় না এমন অঞ্চলেও দৃশ্যমান হতে পারে। তবে, এই ঝড়গুলির কিছু প্রভাবও রয়েছে। কিছু গবেষণা অনুসারে, ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়গুলি মানুষের স্বাস্থ্যের উপর সূক্ষ্ম কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে, যার মধ্যে রয়েছে ঘুমের ব্যাঘাত, রক্তচাপের ওঠানামা এবং মাথাব্যথা। এই ধরনের চৌম্বকীয় ঝড়ের সময়, শারীরিক পরিশ্রম কমানো, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত জল পান করার পরামর্শ দেওয়া হয়। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান এবং শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়ামের মতো শিথিলকরণ কৌশলগুলিও সহায়ক হতে পারে। এই প্রাকৃতিক ঘটনাগুলি মহাজাগতিক কার্যকলাপের একটি অংশ এবং সঠিক সতর্কতা অবলম্বন করলে এর প্রভাবগুলি ন্যূনতম রাখা সম্ভব। এই ঝড়গুলি প্রযুক্তির উপরও প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন রেডিও যোগাযোগ এবং জিপিএস সিস্টেমে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তবে, আমাদের গ্রহের চৌম্বক ক্ষেত্র এবং বায়ুমণ্ডল আমাদের এই মহাজাগতিক প্রভাবগুলি থেকে রক্ষা করে।