উত্থানশীল মহাকর্ষ ধারণাটি, যা ২০১০ সালে এরিক ভেরলিন্ডে প্রস্তাব করেন, মহাবিশ্বের প্রতি আমাদের ধারণাকে নতুন পথে চালিত করতে শুরু করেছে [১]। এই তত্ত্ব অনুসারে, মহাকর্ষ কোনো মৌলিক বল নয়, বরং স্থান-কালের মধ্যে তথ্যের জট থেকে উদ্ভূত একটি ঘটনা [১]৷ সাম্প্রতিক গবেষণা এই ধারণা সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য সরবরাহ করছে।
ফেব্রুয়ারি ২০২৫-এ, ড্যানিয়েল কার্নি এবং তাঁর দল উত্থানশীল মহাকর্ষকে সমর্থন করে এমন ক্ষুদ্র কণা-ভিত্তিক কোয়ান্টাম মডেল নিয়ে একটি গবেষণা প্রকাশ করেন [৩]। তাদের মতে, নিউটনের মহাকর্ষ সূত্র কোয়ান্টাম বিট-এর মুক্ত শক্তির চরম অবস্থা থেকে উদ্ভূত হতে পারে [৬, ৭]। এই গবেষণা মহাকর্ষের উৎস সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয় এবং এর পরীক্ষামূলক পরীক্ষার সম্ভাবনা তৈরি করে।
জুন ২০২৫-এ প্রকাশিত আরেকটি গবেষণায় ভেরলিন্ডের এনট্রপিক মহাকর্ষ থেকে উদ্ভূত একটি পরিবর্তিত ব্রান্স-ডিক তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে [১]। এই মডেলটি একটি বিকৃতি ফাংশন প্রবর্তন করে, যা মহাকর্ষীয় সংযোগ পরিবর্তন করে। গবেষণার ফলাফল মহাবিশ্বে মহাকর্ষের ভূমিকা সম্পর্কে গভীর ধারণা দিতে পারে।
বিজ্ঞানীরা উত্থানশীল মহাকর্ষের প্রভাবগুলি আরও ভালোভাবে বুঝতে চেষ্টা করছেন, কোয়ান্টাম মেকানিক্সের সাথে এটিকে মেলানোর চেষ্টা করছেন এবং ডার্ক ম্যাটার ও ডার্ক এনার্জির মতো মহাজাগতিক রহস্যগুলি সমাধানে কাজ করছেন [২, ৪]। এই গবেষণা ক্ষেত্রটি মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের ধারণা পরিবর্তন করার প্রতিশ্রুতি দেয়, এবং মহাকর্ষের প্রকৃতি সম্পর্কে নতুন ধারণা প্রদান করে।