একটি যুগান্তকারী পরীক্ষায়, গবেষকরা সঠিকভাবে পরিমাপ করেছেন একটি ফোটনের কোয়ান্টাম বাধার মধ্যে কাটানো সময়, যা কোয়ান্টাম টানেলিং নামে পরিচিত। এই আবিষ্কারটি Nature জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এটি কোয়ান্টাম মেকানিক্সের বোহমের ব্যাখ্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ পূর্বাভাসকে চ্যালেঞ্জ করে।
১৯৫২ সালে প্রস্তাবিত বোহমের ব্যাখ্যা অনুযায়ী, কণাগুলো নির্দিষ্ট পথ অনুসরণ করে যা একটি "পাইলট ওয়েভ" দ্বারা পরিচালিত হয়। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, একটি অসীম বাধায় প্রবেশ করলে কণাটি অনন্তকাল সেখানে অবস্থান করবে। তবে সাম্প্রতিক পরীক্ষা দেখিয়েছে যে ফোটনগুলো বাধাটি নির্ধারিত গতি দিয়ে অতিক্রম করে, যা নির্দেশ করে যে তাদের অবস্থানকাল অসীম নয়।
পরীক্ষায় ফোটনগুলোকে আয়নায় আবদ্ধ করা হয়েছিল একটি ফ্লুরোসেন্ট তরলের মধ্যে, যা তাদেরকে ভরযুক্ত হওয়ার মতো আচরণ করতে বাধ্য করে। গবেষকরা সমান্তরাল চ্যানেল এবং একটি "র্যাম্প" সহ একটি কাঠামো ডিজাইন করেছেন, যা বিভিন্ন শক্তির ফোটন তৈরি করে। মূল চাবিকাঠি ছিল একটি এত বড় বাধা যা ফোটনের কাছে অসীম মনে হয়। বাধা অতিক্রম করার সময়, ফোটনগুলো পার্শ্বগতভাবে সরেছিল, যা তাদের অবস্থানকাল পরিমাপের সুযোগ করে দিয়েছে।
এই গবেষণা পূর্বে শুধুমাত্র তত্ত্বগত আলোচনায় সীমাবদ্ধ বিতর্কে প্রমাণভিত্তিক তথ্য প্রদান করে, কোয়ান্টাম টানেলিংয়ের অনুসন্ধানে একটি নতুন অধ্যায় উন্মোচন করে। কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাবঅ্যাটমিক ঘটনাগুলো পূর্বাভাসে অসাধারণ সফল হলেও, এর ব্যাখ্যা এখনও দার্শনিক বিতর্ক এবং অসম্পূর্ণ পরিপ্রেক্ষিতের বিষয়। এই কাজ নির্ভরযোগ্য পরিমাপ প্রদান করে, ধারণাগুলিকে পরিমাপের সাথে সংযুক্ত করে এবং কোয়ান্টাম টানেলিং অনুসন্ধানে নতুন পথ সুগম করে।
এই অগ্রগতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি পূর্বে বিমূর্ত ধারণাগুলো সরাসরি পর্যবেক্ষণের সুযোগ দেয়, কোয়ান্টাম পদার্থবিজ্ঞানে একটি আরও স্পর্শযোগ্য এবং যাচাইযোগ্য মাত্রা যোগ করে। এটি আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার বৈজ্ঞানিক সম্প্রদায়ের জন্যও অনুপ্রেরণার উৎস হতে পারে, যেখানে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক গর্বের মূল্য অপরিসীম।