এমন একটি মহাবিশ্বের কল্পনা করুন যেখানে সময়ের একাধিক মাত্রা রয়েছে এবং স্থানকে নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনী নয়; এটি মহাকাশের একটি নতুন দৃষ্টিকোণ যা নাসার সাম্প্রতিক আবিষ্কার থেকে উদ্ভূত হয়েছে। এই যুগান্তকারী তত্ত্বটি স্থান-কালের প্রতি আমাদের মৌলিক ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে, যা সম্ভবত কোয়ান্টাম মেকানিক্সের প্রতি আমাদের উপলব্ধি-তে বিপ্লব ঘটাতে পারে।
বর্তমান ধারণা, আইনস্টাইনের আপেক্ষিকতার তত্ত্বে নিহিত, স্থান-কালকে একটি চার-মাত্রিক কাঠামো হিসাবে বর্ণনা করে, যার তিনটি স্থানিক মাত্রা এবং সময়ের একটি মাত্রা রয়েছে। তবে, নতুন তত্ত্বটি একটি মৌলিক পরিবর্তনের পরামর্শ দেয়: সময়ের তিনটি মাত্রা থাকতে পারে, যেখানে স্থান এক-মাত্রিক হতে পারে। এই দৃষ্টান্ত পরিবর্তন মহাবিশ্বকে বোঝার জন্য একটি নতুন কাঠামো সরবরাহ করতে পারে।
এই নতুন দৃষ্টিকোণ কোয়ান্টাম মেকানিক্সে পরিলক্ষিত ধাঁধার আচরণ ব্যাখ্যা করতে পারে, যেমন কণাগুলি একই সাথে একাধিক স্থানে বিদ্যমান থাকা। এটি এমনকি আলো-থেকে-দ্রুত কণাগুলির উপরও আলোকপাত করতে পারে, যা দীর্ঘদিন ধরে বৈজ্ঞানিক কৌতূহলের বিষয়। এই আবিষ্কারের প্রভাব সুদূরপ্রসারী, যা সম্ভবত মহাবিশ্বের মৌলিক নিয়মগুলির প্রতি আমাদের উপলব্ধি-কে নতুন আকার দিতে পারে।
আইনস্টাইনের তত্ত্ব, বিশেষ করে বিশেষ এবং সাধারণ আপেক্ষিকতা, স্থান-কাল এবং মহাকর্ষ সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে পরিচালিত করেছে। বিশেষ আপেক্ষিকতা স্থান এবং সময়ের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করেছে, যেখানে সাধারণ আপেক্ষিকতা বর্ণনা করেছে কীভাবে বিশাল বস্তু স্থান-কালের কাঠামোকে বাঁকিয়ে দেয়, যা মহাকর্ষ হিসাবে প্রকাশিত হয়। অন্যদিকে, কোয়ান্টাম মেকানিক্স সাব-পরমাণু কণাগুলির আচরণ নিয়ন্ত্রণ করে, যা প্রায়শই তরঙ্গ-কণা দ্বৈততা এবং কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্টের মতো আপাতদৃষ্টিতে পরস্পরবিরোধী আচরণ প্রদর্শন করে।
কোয়ান্টাম মেকানিক্স কণাগুলিকে সম্ভাবনার তরঙ্গ হিসাবে বর্ণনা করে, যেখানে তরঙ্গের শীর্ষ কণা খুঁজে পাওয়ার সর্বোচ্চ সম্ভাবনা নির্দেশ করে। এই কাঠামো কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্টের অনুমতি দেয়, যেখানে একটি কণা তাৎক্ষণিকভাবে অন্যটিকে প্রভাবিত করে। নতুন তত্ত্বটি পরামর্শ দেয় যে আলো-থেকে-দ্রুত পর্যবেক্ষকরা সময়ের তিনটি মাত্রা এবং স্থানের একটি মাত্রা উপলব্ধি করতে পারে, যার ফলে কণাগুলি একই সাথে একাধিক গতিপথ অনুসরণ করে।
এই দৃষ্টিকোণ কোয়ান্টাম মেকানিক্সের রহস্য ব্যাখ্যা করতে পারে, যা মহাবিশ্বকে দেখার জন্য একটি নতুন লেন্স সরবরাহ করে। এই আবিষ্কার গবেষণা এবং উপলব্ধির নতুন দ্বার উন্মোচন করে, যা সম্ভবত প্রযুক্তিগত অগ্রগতির দিকে পরিচালিত করে যা একসময় অসম্ভব বলে মনে করা হত। এই গবেষণার প্রভাব বিশাল, যা মহাবিশ্ব এবং এর মৌলিক নিয়মগুলির প্রতি আমাদের উপলব্ধি-কে নতুন আকার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।