ব্রাউন ইউনিভার্সিটির প্রকৌশলীরা কোয়ান্টাম মাল্টি-ওয়েভলেন্থ হলোগ্রাফি নামক একটি নতুন কৌশল উদ্ভাবন করেছেন, যা ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম তৈরির মাধ্যমে ইমেজ প্রযুক্তিকে উন্নত করেছে।
এই অত্যাধুনিক কৌশলটি কোয়ান্টাম এনট্যাঙ্গলমেন্ট ব্যবহার করে, যা প্রচলিত ইনফ্রারেড ক্যামেরার প্রয়োজন ছাড়াই উচ্চ-গুণমান সম্পন্ন ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাম তৈরি করতে সক্ষম। এই পদ্ধতিতে আলোকরশ্মির তীব্রতা এবং দশাকে একত্রিত করে গভীরতা পরিমাপ করা হয়, যা প্রচলিত ইমেজিং পদ্ধতির সীমাবদ্ধতা দূর করে।
কোয়ান্টাম হলোগ্রাফি চিকিৎসা এবং উৎপাদন শিল্পে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরীণ অঙ্গের ত্রিমাত্রিক চিত্র তৈরি করা সম্ভব, যা রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্তকরণে সহায়ক।
গবেষকরা একটি ক্ষুদ্র ধাতব অক্ষর 'B'-এর ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাফিক চিত্র তৈরি করে এই প্রযুক্তির কার্যকারিতা প্রমাণ করেছেন।
ডিজিটাল হলোগ্রাফি বাজার ২০২৪ সালে ৪.৩৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ২০৩৪ সালে ২৪.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছানোর পূর্বাভাস করা হয়েছে, যা ২০২৫ থেকে ২০৩৪ সালের মধ্যে ১৮.৮২% CAGR-এ বৃদ্ধি পাবে।
এই আবিষ্কার ভবিষ্যতে ত্রিমাত্রিক হলোগ্রাফিক ইমেজিংয়ের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে।