অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা গ্রিনল্যান্ডের ডিকসন ফিয়র্ডে মেগাত্সুনামির অস্তিত্ব নিশ্চিত করেছেন, যা সরাসরি ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে পর্যবেক্ষিত বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্প সংকেতের সাথে যুক্ত। এই যুগান্তকারী আবিষ্কার, যা 'নেচার কমিউনিকেশনস'-এ প্রকাশিত হয়েছে, এই বিশাল ঢেউ এবং তাদের প্রভাবের প্রথম প্রত্যক্ষ পর্যবেক্ষণ প্রদান করে। ### প্রধান অনুসন্ধান থমাস মোনাহানের নেতৃত্বে পরিচালিত এই গবেষণায় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে উৎক্ষেপিত সারফেস ওয়াটার অ্যান্ড ওশন টপোগ্রাফি (SWOT) স্যাটেলাইটের ডেটা ব্যবহার করা হয়েছে। SWOT-এর Ka-band রাডার ইন্টারফেরোমিটার (KaRIn) বিজ্ঞানীদের অভূতপূর্ব নির্ভুলতার সাথে ফিয়র্ডের উপরিভাগ মানচিত্রিত করতে সাহায্য করেছে। ডেটা প্রকাশ করেছে যে ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে দুটি প্রধান ভূমিধসের পরে, কয়েক দিন ধরে স্থায়ী তরঙ্গ বা সিচেস বিদ্যমান ছিল। এই ভূমিধসগুলি জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হিমবাহ গলার ফলে হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ মেগাত্সুনামি সৃষ্টি হয়েছিল। গবেষকরা ২০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার ঢেউ পর্যবেক্ষণ করেছেন, যা ভূমিধস, এর ফলে সৃষ্ট সুনামি এবং বিশ্বজুড়ে বিজ্ঞানীদের বিভ্রান্ত করা রহস্যজনক ভূমিকম্প সংকেতগুলির মধ্যে সংযোগ নিশ্চিত করেছে। SWOT ডেটা ভূমিকম্প এবং আবহাওয়া সংক্রান্ত ডেটার সাথে একত্রিত করে, দলটি ঢেউগুলি পুনর্গঠন করেছে এবং সেগুলিকে বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্পের ঘটনার সাথে যুক্ত করেছে। এই গবেষণা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং দূরবর্তী অঞ্চলে চরম ঘটনা অধ্যয়নে উন্নত স্যাটেলাইট প্রযুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরে।
অক্সফোর্ড বিজ্ঞানীরা SWOT স্যাটেলাইট ডেটা ব্যবহার করে গ্রিনল্যান্ড ফিয়র্ডে মেগাত্সুনামি নিশ্চিত করেছেন, যা বিশ্বব্যাপী ভূমিকম্প সংকেতের সাথে সম্পর্কিত
সম্পাদনা করেছেন: gaya ❤️ one
উৎসসমূহ
La Razón
Nature Communications
University of Oxford
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।