কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার করেছেন, যেখানে শুক্রাণু কোষগুলি নিউটনের গতির তৃতীয় সূত্রকে অস্বীকার করে। এই সূত্র অনুযায়ী, প্রতিটি ক্রিয়ার একটি সমান এবং বিপরীত প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে, কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দেখিয়েছেন যে শুক্রাণু কোষগুলি সান্দ্র তরলে এমনভাবে চলাচল করে যা এই সূত্রের পরিপন্থী। কেন্টা ইশিমোতোর নেতৃত্বে গবেষক দল আবিষ্কার করেছেন যে শুক্রাণু কোষগুলি তাদের ফ্ল্যাজেলা নামক লেজের মাধ্যমে বিশেষ উপায়ে বাঁক তৈরি করে, যা তাদের স্বাভাবিক গতির পথে বাধা সৃষ্টি করে না। এই আবিষ্কারের ফলে, চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং প্রকৌশল জগতে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। অতীতে, বিজ্ঞানীরা ক্ষুদ্রাকৃতির যন্ত্র তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা শরীরের জটিল পরিবেশে চলাচল করতে পারে। এই গবেষণা সেই ধারণাকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ, এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরে ওষুধ সরবরাহ করার জন্য ক্ষুদ্রাকৃতির রোবট তৈরি করা যেতে পারে। ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে, নিউটনের গতির সূত্রগুলি ১৬৮৭ সালে স্যার আইজ্যাক নিউটন কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছিল এবং এটি পদার্থবিদ্যার একটি ভিত্তি হিসেবে আজও স্বীকৃত। তবে, কিয়োটো বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন গবেষণা সেই ধারণাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছে। এটি আমাদের বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির অগ্রগতির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা এবং প্রকৌশল ক্ষেত্রে বিশাল পরিবর্তন আনতে পারে।
শুক্রাণু কোষ নিউটনের তৃতীয় সূত্রকে অস্বীকার করে: ভবিষ্যতের জন্য একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার
সম্পাদনা করেছেন: Vera Mo
উৎসসমূহ
thetimes.gr
Phys.org
Proceedings of the National Academy of Sciences
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।