ভারতীয় গবেষকরা কোয়ান্টাম পদার্থে টপোলজিক্যাল ইনভেরিয়েন্ট সনাক্ত করার নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন

একটি ডোনাট এবং একটি কফি কাপ কল্পনা করুন। এগুলি দেখতে ভিন্ন হতে পারে, তবে টপোলজির জগতে, এগুলি মূলত একই, কারণ উভয়েরই একটি করে গর্ত রয়েছে। ভারতীয় গবেষকরা এখন কোয়ান্টাম রাজ্যে অনুরূপ একটি ধারণা প্রয়োগ করেছেন, যা বহিরাগত পদার্থে লুকানো বৈশিষ্ট্যগুলি সনাক্ত করার জন্য একটি বিপ্লবী পদ্ধতি উন্মোচন করে। ভারতের রমন রিসার্চ ইনস্টিটিউট (আরআরআই)-এর গবেষকরা, অধ্যাপক দিব্যেন্দু রায় এবং পিএইচডি গবেষক কিরণ বাবসাহেব এস্টেক-এর নেতৃত্বে, মোমেন্টাম-স্পেস স্পেকট্রাল ফাংশন (এসপিএসএফ) বিশ্লেষণ নামক একটি নতুন পদ্ধতির প্রবর্তন করেছেন। এই পদ্ধতিটি বিজ্ঞানীদের কোয়ান্টাম পদার্থ, যেমন টপোলজিক্যাল ইনসুলেটর এবং সুপারকন্ডাক্টর-এ সরাসরি পর্যবেক্ষণ ছাড়াই টপোলজিক্যাল ইনভেরিয়েন্টগুলি পরোক্ষভাবে দেখতে এবং সনাক্ত করতে দেয়। ফিজিক্যাল রিভিউ বি-তে প্রকাশিত এই যুগান্তকারী আবিষ্কারের পরবর্তী প্রজন্মের প্রযুক্তির জন্য গভীর প্রভাব রয়েছে। এটি কোয়ান্টাম কম্পিউটিং, ত্রুটি-সহনশীল ইলেকট্রনিক্স এবং শক্তি-সাশ্রয়ী সিস্টেমের উন্নতির পথ প্রশস্ত করতে পারে। এস্টেক গবেষণার ব্যাপক প্রয়োগের সম্ভাবনা তুলে ধরে বলেন, "আমরা বিভিন্ন উদাহরণের মাধ্যমে প্রমাণ করেছি যে স্পেকট্রাল ফাংশনেও একটি সিস্টেমের টপোলজি সম্পর্কে স্বাক্ষর রয়েছে।" ঐতিহ্যবাহী পদ্ধতিগুলি অ্যাঙ্গেল-রিজলভড ফটোইমিশন স্পেকট্রোস্কোপি (এআরপিইএস)-এর উপর নির্ভরশীল ছিল। আরআরআই দলের আবিষ্কার প্রমাণ করে যে স্পেকট্রাল ফাংশনে সহজাতভাবে টপোলজিক্যাল স্বাক্ষর রয়েছে। এটি কোয়ান্টাম পদার্থ অন্বেষণ এবং শ্রেণীবদ্ধ করার জন্য নতুন পথ খুলে দেয়, যা ঘনীভূত পদার্থবিদ্যা গবেষণায় ভারতের অবস্থানকে সুসংহত করে।