সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, পৃথিবী তার ঘূর্ণন গতিকে দ্রুততর করছে, যা আমাদের দিনের দৈর্ঘ্যকে মিলিসেকেন্ড মাত্রায় কমিয়ে দিচ্ছে। ২০২৪ সালে এই প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষণীয় হয়েছে, যেখানে ৫ জুলাই ছিল রেকর্ডভঙ্গকারী সবচেয়ে ছোট দিন, যা প্রচলিত ৮৬,৪০০ সেকেন্ডের থেকে ১.৬৬ মিলিসেকেন্ড কম।
আন্তর্জাতিক আর্থ রোটেশন অ্যান্ড রেফারেন্স সিস্টেম সার্ভিস (IERS) এবং Timeanddate.com-এর বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন যে, ২০২৫ সালে এই সংখ্যা আরও ছাড়িয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে ৯ জুলাই, ২২ জুলাই এবং ৫ আগস্টের আশপাশে। এই দ্রুত ঘূর্ণন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে গভীর প্রভাব ফেলতে পারে, যেমন স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম, বৈশ্বিক আর্থিক নেটওয়ার্ক এবং যোগাযোগ অবকাঠামো, যেগুলো সঠিক সময় নির্ধারণের ওপর নির্ভরশীল।
পারমাণবিক সময় এবং পৃথিবীর প্রকৃত ঘূর্ণনের মধ্যে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে লিপ সেকেন্ড ব্যবহার করা হয়। সাধারণত, যখন পৃথিবী ধীরে ঘোরে তখন একটি অতিরিক্ত সেকেন্ড যোগ করা হয়। তবে এবার প্রথমবারের মতো নেতিবাচক লিপ সেকেন্ডের সম্ভাবনা আলোচনা করা হচ্ছে — অর্থাৎ পৃথিবীর দ্রুত ঘূর্ণনের জন্য সময় থেকে একটি সেকেন্ড কমানো। এই সূক্ষ্ম পরিবর্তন দৈনন্দিন জীবনে প্রভাব ফেলবে না, তবে বিশেষজ্ঞ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে তারা এই পরিবর্তনগুলি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে এবং সময় নির্ভর সিস্টেমগুলোর স্থিতিশীলতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করে।