বৈকাল টেলিস্কোপ আমাদের গ্যালাক্সির ভেতর থেকে আসা উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনো শনাক্ত করেছে

সম্পাদনা করেছেন: Vera Mo

একটি যুগান্তকারী অর্জনে, বৈকাল-জিভিডি (গিগাটন ভলিউম ডিটেক্টর) নিউট্রিনো টেলিস্কোপ সফলভাবে মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির ভেতর থেকে উৎপন্ন হওয়া উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনো শনাক্ত করেছে। দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নালে প্রকাশিত এই আবিষ্কার, মহাবিশ্বের সবচেয়ে অধরা কণাগুলো বোঝার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই কৃতিত্ব মহাবিশ্বের উৎপত্তি ও বিবর্তন সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে।

নিউট্রিনো, মৌলিক কণা যা বস্তুর সাথে সামান্য মিথস্ক্রিয়া করে, প্রথম ১৯৩০-এর দশকে তত্ত্বীয়ভাবে প্রস্তাব করা হয়েছিল। ১৯৫৬ সালে পরীক্ষামূলকভাবে পরিলক্ষিত, এগুলো অবিশ্বাস্যভাবে ছোট এবং মহাজাগতিক বস্তুসহ প্রায় কোনো বাধা ছাড়াই বস্তুর মধ্য দিয়ে যেতে পারে। এগুলো শনাক্ত করা একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ, তবুও জ্যোতির্বিদ্যা গবেষণার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বৈকাল নিউট্রিনো টেলিস্কোপ চেরেনকভ বিকিরণ সনাক্তকরণের নীতিতে কাজ করে। এই বিকিরণ হলো আলোর ঝলক যা নিউট্রিনো মিথস্ক্রিয়ার ফলে সৃষ্ট মিউওন যখন আলোর চেয়ে দ্রুত গতিতে পানির মধ্য দিয়ে যায় তখন উৎপন্ন হয়। ১৩০০ মিটার গভীরতায় বৈকাল হ্রদে অবস্থিত এই টেলিস্কোপে প্রায় ৪৭০০টি অপটিক্যাল ডিটেক্টর রয়েছে।

যদিও টেলিস্কোপটি বছরে মাত্র ১০-১৫টি উচ্চ-শক্তির নিউট্রিনো ধারণ করে, তবুও এই কণাগুলো মহাবিশ্বের প্রক্রিয়া সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য ধারণ করে। রাশিয়ান বিজ্ঞানীরা আইসক्यूब প্রকল্পসহ আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সাথে এই ডেটা বিশ্লেষণ করতে সহযোগিতা করেন। এই সহযোগিতা মহাবিশ্বের গভীর রহস্য সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া বাড়ায়।

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।