চীন ২০২৫ সালের ২৪শে এপ্রিল শেনঝোউ-২০ মিশনটি সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে, যেখানে তিনজন নভোচারীকে তিয়ানগং স্পেস স্টেশনে পাঠানো হয়েছে। ২০৫০ সালের মধ্যে একটি শীর্ষস্থানীয় মহাকাশ শক্তি হওয়ার লক্ষ্যে চীনের দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অনুসন্ধান পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ এই মিশন।
তাদের ছয় মাসের অবস্থানে, ক্রুরা পদার্থবিদ্যা এবং জীবন বিজ্ঞানে বিভিন্ন পরীক্ষা চালাবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই মিশনটি প্ল্যানারিয়ান জড়িত চীনের প্রথম মহাকাশ-ভিত্তিক পরীক্ষা চিহ্নিত করে, জলজ চ্যাপ্টা কৃমি যা তাদের অসাধারণ পুনর্জন্ম ক্ষমতার জন্য পরিচিত। বিজ্ঞানীরা অধ্যয়ন করবেন কীভাবে মহাকাশের অবস্থা প্ল্যানারিয়ান পুনর্জন্মকে প্রভাবিত করে, যা সম্ভবত বার্ধক্য এবং স্থান সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যা মোকাবেলায় অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। ক্রুরা জেব্রাফিশ এবং স্ট্রেপ্টোমাইসিস নিয়েও পরীক্ষা চালাবে।
বৈজ্ঞানিক গবেষণা ছাড়াও, নভোচারীরা স্পেসওয়াক করবে, সরবরাহ পুনরায় পূরণ করবে এবং তিয়ানগং স্টেশনে সাধারণ রক্ষণাবেক্ষণ করবে। চীনের মহাকাশ কর্মসূচির লক্ষ্য হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সাথে সমতা অর্জন করা, যেখানে তিয়ানগং স্পেস স্টেশন এই প্রচেষ্টায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে কাজ করছে। এই মিশনটি দীর্ঘমেয়াদী মহাকাশ অনুসন্ধান এবং বৈজ্ঞানিক অগ্রগতির প্রতি চীনের প্রতিশ্রুতিকেও তুলে ধরে।