প্রত্নতাত্ত্বিকরা সম্প্রতি এমন কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ খুঁজে পেয়েছেন যা থেকে জানা যায় যে, ৭৯ খ্রিস্টাব্দে মাউন্ট ভিসুভিয়াসের ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাতের পরেও পম্পেই শহরে মানুষের বসবাস ছিল। যারা অন্য কোথাও আশ্রয় নিতে পারেননি, তারা ধ্বংসপ্রাপ্ত শহরে ফিরে এসেছিলেন। এদের সাথে যোগ দিয়েছিল অন্যরাও, যারা আশ্রয় এবং ব্যবহারযোগ্য জিনিসপত্র খুঁজছিল। পম্পেই প্রত্নতাত্ত্বিক উদ্যানের পরিচালক গ্যাব্রিয়েল জুখট্রিগেল এই আবিষ্কারগুলিকে "একটি অনানুষ্ঠানিক বসতি যেখানে মানুষ অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে বাস করত" বলে বর্ণনা করেছেন।
এই নতুন খননকার্যের ফলে প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, অগ্ন্যুৎপাতের পর পম্পেই শহরটি একটি নতুন রূপ ধারণ করেছিল। এখানে মানুষজন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বসবাস শুরু করে এবং পঞ্চম শতাব্দী পর্যন্ত তাদের বসতি বজায় রাখে। এই বসতিগুলি পূর্বের রোমান শহরের মতো অবকাঠামো এবং পরিষেবা ছাড়াই গড়ে উঠেছিল। পূর্বে ধারণা করা হত যে অগ্ন্যুৎপাতের পর পম্পেই শহরটি সম্পূর্ণরূপে পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু নতুন খননকার্যে প্রাপ্ত তথ্য এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করেছে। এই আবিষ্কারগুলি পম্পেইয়ের সহনশীলতা এবং বিপর্যয়ের পরেও সেখানকার বাসিন্দাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে একটি গভীর ধারণা প্রদান করে। এই নতুন খননকার্যের মাধ্যমে, ৭৯ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী পম্পেই শহরটি আবার প্রকাশিত হয়েছে, যা কেবল একটি শহর নয়, বরং এটি ছিল একটি অস্থায়ী বসতি, যা ধ্বংসপ্রাপ্ত পম্পেইয়ের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি শিবিরের মতো ছিল। পূর্বে, অগ্ন্যুৎপাতের ফলে প্রায় ২০,০০০ মানুষের শহর পম্পেইয়ের প্রায় ১৫-২০% মানুষ মারা গিয়েছিল। ১৭৪৮ সালে খননকার্য শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় ১,৩০০ জন ভুক্তভোগীকে শনাক্ত করা হয়েছে এবং ২২ হেক্টর জমির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এখনও খনন করা হয়নি। এই নতুন আবিষ্কারগুলি পম্পেইয়ের ইতিহাস এবং এর অধিবাসীদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে আমাদের ধারণাকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।