মে ২০২৫ সালে, প্রত্নতত্ত্ববিদরা ইংল্যান্ডের সাফোকের সাটন হু-তে পাওয়া ৬ষ্ঠ শতাব্দীর বাইজেন্টাইন কপার অ্যালয় পাত্র ব্রোমেসওয়েল বালতিকে একটি শ্মশান কলস হিসাবে পুনরায় ব্যাখ্যা করেছেন। এই আবিষ্কারটি অ্যাংলো-স্যাক্সনদের সমাধিস্থ করার রীতি এবং সেই সময়ের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান সম্পর্কে নতুন ধারণা দেয়।
টাইম টিম, এফএএস হেরিটেজ এবং ন্যাশনাল ট্রাস্টের মতো দলগুলির খননকার্যে ব্র্যাডফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নত সিটি এবং এক্স-রে বিশ্লেষণ ব্যবহার করা হয়েছে। এই বিশ্লেষণগুলিতে বালতির ভিতরে মাথার খুলি এবং গোড়ালির টুকরা সহ দাহ করা মানব দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে, সেইসাথে প্রাণীর হাড়ও রয়েছে, সম্ভবত একটি ঘোড়ার।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন বালতিটি আধুনিক তুরস্কের অ্যান্টিওক থেকে এসেছে এবং সাটন হুতে আসার সময় এটি প্রায় ১০০ বছর পুরানো ছিল। ব্রোমেসওয়েল বালতি ভূমধ্যসাগরীয় বিলাসিতা এবং জার্মানিক শ্মশান রীতির সংমিশ্রণের উদাহরণ। পাত্রের মধ্যে সমাধিস্থ ব্যক্তি সম্পর্কে আরও জানার জন্য রেডিওকার্বন ডেটিং এবং ডিএনএ বিশ্লেষণ সহ আরও গবেষণা চলছে, যা ইতিহাসের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়কাল সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়াকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।