১৩ বছর ধরে চলা খরা মায়া সভ্যতার পতনে অবদান রেখেছে: নতুন গবেষণা
সম্পাদনা করেছেন: Iryna Balihorodska
একটি নতুন গবেষণা, যা ১৩ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে সায়েন্স অ্যাডভ্যান্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, এটি আরও প্রমাণ সরবরাহ করে যে মায়া সভ্যতার পতনের পেছনে বারবার এবং দীর্ঘস্থায়ী খরার একটি বড় ভূমিকা ছিল। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ইউকাটান উপদ্বীপের প্রাচীন মায়া শহর চিচেন ইৎজা এবং উক্সমালের কাছে অবস্থিত তজবনা গুহার স্ট্যালাগমাইটের রাসায়নিক গঠন বিশ্লেষণ করেছেন। এই বিশ্লেষণ ৮৭১ থেকে ১০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মাসিক বৃষ্টিপাতের একটি সুনির্দিষ্ট পুনর্গঠন সম্ভব করেছে, যা অনেক দক্ষিণী মায়া শহরের পতনের সময়কালের সাথে মিলে যায়।
গবেষণায় দেখা গেছে যে এই সময়কালে আটটি খরার ঘটনা ঘটেছিল, যার প্রতিটি অন্তত তিন বছর স্থায়ী ছিল। এর মধ্যে দীর্ঘতম খরাটি ৯২৯ খ্রিস্টাব্দে শুরু হয়েছিল এবং ১৩ বছর ধরে চলেছিল। এই চরম পরিস্থিতি মায়া কৃষিকাজকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং রাজনৈতিক অস্থিরতায় অবদান রাখতে পারত। এই ফলাফলগুলি পূর্ববর্তী গবেষণাকে সমর্থন করে যা জলবায়ু পরিবর্তন এবং মায়া সংস্কৃতির পতনের মধ্যে একটি যোগসূত্র নির্দেশ করে। ২০১৪ সালের একটি গবেষণা ইতিমধ্যেই ইঙ্গিত দিয়েছিল যে ৮০০ থেকে ১১০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে কম বৃষ্টিপাতের সময়কাল মায়া সভ্যতার পতনের সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিল। বর্তমান গবেষণাটি প্রাচীন সংস্কৃতির পতনের কারণ অনুসন্ধানে জলবায়ুগত কারণগুলির গুরুত্বের উপর জোর দেয় এবং জটিল সমাজে খরার প্রভাব সম্পর্কে মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই তথ্যগুলি কেবল মায়া সভ্যতার অতীতকেই আলোকিত করে না, বরং ভবিষ্যতের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব সম্পর্কেও আমাদের সতর্ক করে।
উৎসসমূহ
Süddeutsche Zeitung
El País
Science Advances
Science
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
