বিজ্ঞানীরা *MC1R* জিন নিয়ে গবেষণা করে নতুন তথ্য উন্মোচন করেছেন, যা মানুষের চেহারার বয়স কম দেখাতে সহায়ক হতে পারে। এই গবেষণাটি বার্ধক্য প্রক্রিয়া এবং ত্বকের যত্নের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
রটারডামের ইরাসমাস ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টার এবং ইউনিলিভারের গবেষকরা প্রায় ২,৭০০ বয়স্ক মানুষের ছবি বিশ্লেষণ করেছেন। তাদের চেহারার বয়স নির্ধারণের জন্য কিছু স্বতন্ত্র পর্যবেক্ষকের সাহায্য নেওয়া হয়েছিল। এরপর, অংশগ্রহণকারীদের জেনেটিক প্রোফাইলের সাথে তাদের চেহারার বয়সের তুলনা করা হয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, *MC1R* জিনের বিশেষ রূপের কারণে মানুষের বয়স কম মনে হয়। যাদের মধ্যে এই জিনগত বৈশিষ্ট্য ছিল, তাদের গড় বয়স তাদের প্রকৃত বয়সের চেয়ে দুই বছর কম দেখা গেছে। এই প্রভাব ত্বক ও চুলের রঙের মতো বিষয়গুলো বিবেচনা করার পরেও একই ছিল, যা প্রমাণ করে যে জিনের প্রভাব দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যের বাইরেও বিস্তৃত।
*MC1R* জিন মেলানিন উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, যা ত্বক ও চুলের রঙ নির্ধারণ করে। এই গবেষণায় দেখা গেছে, এই জিনের একটি বিশেষ রূপ কীভাবে আমাদের চেহারায় প্রভাব ফেলে। এটি ত্বকের যত্নের জন্য ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসা এবং আমাদের জিন কীভাবে আমাদের চেহারার উপর প্রভাব ফেলে, সে সম্পর্কে আরও ভালো ধারণা দিতে পারে।
কসমেটিকস শিল্প জেনেটিক গবেষণায় আরও বেশি বিনিয়োগ করছে, যা ব্যক্তিগতকৃত পণ্য তৈরি করতে সাহায্য করবে। উদাহরণস্বরূপ, L'Oréal-এর মতো কোম্পানিগুলি ব্যক্তিগতকৃত চিকিৎসার জন্য জেনেটিক পরীক্ষার ব্যবহার নিয়ে গবেষণা করছে, যা ব্যক্তির জিনগত প্রোফাইলের উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হবে। এছাড়াও, *MC1R* জিন নিয়ে গবেষণা ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করছে, যা কোষের স্তরে ত্বককে রক্ষা ও মেরামত করার জন্য সম্ভাব্য চিকিৎসা সরবরাহ করতে পারে।