গবেষকরা নতুন আবিষ্কৃত একটি নিউরোপ্যাথির সাথে সম্পর্কিত জিনগত পরিবর্তনগুলি সনাক্ত করেছেন, যা কিছু ব্যক্তি সংক্রমণের পরে কেন স্নায়ুর ক্ষতির বিকাশ ঘটায় সে সম্পর্কে সম্ভাব্য অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই আবিষ্কারটি আরও ভাল রোগ নির্ণয়, প্রজনন পরিকল্পনা এবং সম্ভাব্যভাবে, এই দুর্বল অবস্থার ভবিষ্যতের চিকিৎসার দিকে পরিচালিত করতে পারে।
যুক্তরাজ্যের একটি দল একটি শিশুর হালকা জ্বর এবং ফুসকুড়ির পরে দ্রুত নিউরোপ্যাথির একটি বিরল ঘটনা তদন্ত করেছে। শিশুটি, সেইসাথে দুটি বড় ভাই একই ধরনের উপসর্গ প্রদর্শন করে, যা একটি জিনগত গবেষণার জন্ম দেয়। ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডঃ রব হার্কনেস ইউরোপীয় হিউম্যান জেনেটিক্স সোসাইটির বার্ষিক সম্মেলনে এই ফলাফল উপস্থাপন করেন।
গবেষকরা নিউরোপ্যাথির জন্য দায়ী একটি নির্দিষ্ট জিন পরিবর্তন সনাক্ত করেছেন। এই জিনটি কোষের নিউক্লিয়াস (কোষের নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র) এবং সাইটোপ্লাজম (কোষের ভিতরের তরল) এর মধ্যে প্রোটিন এবং নিউক্লিক অ্যাসিডের চলাচল নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই চলাচল কোষের কার্যকারিতা এবং মেরামতের জন্য অপরিহার্য, এবং এটি বিশেষভাবে চাপ, তাপমাত্রা এবং সংক্রমণের প্রতি সংবেদনশীল।
এই জিনগত পরিবর্তনের প্রভাবগুলি গুলেন-বারে সিন্ড্রোমের মতো, যা অন্য একটি সংক্রমণ-প্ররোচিত নিউরোপ্যাথি। এই আবিষ্কার দ্রুত এবং নির্ভুল রোগ নির্ণয়ের অনুমতি দেয়, সম্ভাব্য দীর্ঘ এবং ব্যয়বহুল তদন্ত এড়ায়। অধিকন্তু, ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা এখন তাদের প্রজনন পছন্দ সম্পর্কে জানতে গর্ভধারণ-পূর্ব পরীক্ষা করাতে পারেন।
ডঃ হার্কনেস এবং তার দল আক্রান্ত ব্যক্তিদের ত্বকের কোষ থেকে স্নায়ু তৈরি করে তাদের গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি তাদের বুঝতে সাহায্য করবে কেন এই রোগটি বিশেষভাবে স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। তারা সম্ভাব্য চিকিৎসার পরীক্ষা করার লক্ষ্য রেখেছেন এবং গবেষণার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য ফলের মাছিতেও এই গবেষণা চালাচ্ছেন।
সম্মেলনের চেয়ার অধ্যাপক আলেকজান্ডার রেমন্ড এটিকে জিন-পরিবেশ মিথস্ক্রিয়ার একটি প্রধান উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে জিনগত ভিন্নতাগুলি পরিবেশগত কারণগুলি, যেমন নির্দিষ্ট সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে ব্যক্তিদের পূর্বনির্ধারিত করতে পারে।
এই আবিষ্কার সংক্রমণ-প্ররোচিত নিউরোপ্যাথি বোঝা এবং সম্ভাব্য চিকিৎসার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। জড়িত নির্দিষ্ট জিন সনাক্ত করে, গবেষকরা এখন লক্ষ্যযুক্ত থেরাপি এবং প্রতিরোধ কৌশল বিকাশের উপর মনোযোগ দিতে পারেন, যা এই রোগে আক্রান্তদের জন্য আশার আলো দেখাচ্ছে।