প্লেগ এবং কুষ্ঠ রোগের মতো রোগের জেনেটিক ইতিহাস বোঝা আমাদের এগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য আরও ভালো কৌশল তৈরি করতে সাহায্য করে, যা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো কীভাবে খাপ খায় এবং ছড়ায় সে সম্পর্কে ধারণা দেয়।
সায়েন্স-এ প্রকাশিত দুটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রাচীন ব্যাকটেরিয়ার ডিএনএ বিশ্লেষণ করে প্লেগ এবং কুষ্ঠ রোগের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করে। ইনস্টিটিউট পাস্তুর এবং ম্যাকমাস্টার ইউনিভার্সিটির গবেষকরা তদন্ত করেছেন কেন প্লেগ মহামারী এত দীর্ঘস্থায়ী হয়েছিল। তারা বিভিন্ন মহামারী থেকে বুBononic প্লেগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া ইয়ারসিনিয়া পেস্টিসের নমুনা পরীক্ষা করেছেন।
গবেষণায় দেখা গেছে যে তিনটি প্রধান প্লেগ মহামারীতে, ব্যাকটেরিয়া কম ক্ষতিকর হওয়ার জন্য বিকশিত হয়েছে। আপাতদৃষ্টিতে স্ববিরোধী হলেও, এই হ্রাসকৃত ক্ষতিকর ক্ষমতা মহামারীগুলোকে দীর্ঘায়িত করেছে। কম গুরুতর সংক্রমণের অর্থ হল রোগটি ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে ছড়ানোর আরও বেশি সুযোগ পেয়েছে।
আলাদা একটি গবেষণায়, ইনস্টিটিউট পাস্তুর এবং কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা আমেরিকার কুষ্ঠ রোগ পরীক্ষা করেছেন। তারা প্রাচীন ডিএনএ নমুনা বিশ্লেষণ করেছেন এবং ৯,০০০ বছর আগের কুষ্ঠ রোগে জড়িত একটি ব্যাকটেরিয়া মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রোমাটোসিস আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কার থেকে জানা যায় যে ইউরোপীয় উপনিবেশ স্থাপনের অনেক আগে থেকেই আমেরিকাতে কুষ্ঠ রোগ বিদ্যমান ছিল।
যদিও ইউরোপীয়রা অন্য একটি কুষ্ঠ রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া, মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রি চালু করেছিল, তবে এই আবিষ্কার মাইকোব্যাকটেরিয়াম লেপ্রোমাটোসিস আরও ভালোভাবে অধ্যয়নের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়। এই রোগগুলোর বিবর্তন এবং বিস্তার বোঝা কার্যকর প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কৌশল বিকাশের জন্য মূল্যবান অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। এই জ্ঞান আমাদের ভবিষ্যতের প্রাদুর্ভাবের জন্য আরও ভালোভাবে প্রস্তুত হতে এবং সেগুলোর বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
প্রাচীন ডিএনএ অধ্যয়ন করে, বিজ্ঞানীরা রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুগুলো কীভাবে খাপ খায় এবং ছড়ায় সে সম্পর্কে আরও গভীর ধারণা পান, যা রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং প্রতিরোধের জন্য আরও ভালো কৌশল তৈরি করে। এই গবেষণা আমাদের ভবিষ্যৎ রক্ষার জন্য অতীতের অধ্যয়নের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়।