চীন সাফল্যের সাথে ২৮ মে, ২০২৫ তারিখে সিচাং স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে একটি লং মার্চ ৩বি রকেট ব্যবহার করে তিয়ানওয়েন-২ মিশন উৎক্ষেপণ করেছে। এই মিশনটি একটি গ্রহাণু থেকে নমুনা পুনরুদ্ধার এবং একটি ধূমকেতু অধ্যয়ন করার চীনের প্রথম প্রচেষ্টা, যা দেশটির গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান কর্মসূচিকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
তিয়ানওয়েন-২ এর প্রাথমিক লক্ষ্য হল পৃথিবীর নিকটবর্তী গ্রহাণু ৪৬৯২১৯ কামোওলেওয়া, যা ২০১৬ এইচও৩ নামেও পরিচিত, এটি পৃথিবীর একটি উপগ্রহ। মহাকাশযানটি ২০২৬ সালের জুলাই মাসে কামোওলেওয়াতে পৌঁছানোর কথা রয়েছে, যেখানে এটি বিস্তারিত গবেষণা এবং নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রায় সাত মাস সময় কাটাবে। এই নমুনাগুলি ২০২৭ সালের নভেম্বরের মধ্যে পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে।
গ্রহাণু অধ্যয়নের পর, তিয়ানওয়েন-২ ধূমকেতু ৩১১পি/প্যানস্টার্সের দিকে যাত্রা করার জন্য একটি মাধ্যাকর্ষণ সহায়তা কৌশল ব্যবহার করবে, যা ২০৩৫ সালের জানুয়ারির কাছাকাছি পৌঁছাবে। এই মিশনে স্পেকট্রোমিটার, উচ্চ-রেজোলিউশন ক্যামেরা এবং একটি রাডার সহ ১১টি বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম রয়েছে, যা উভয় মহাজাগতিক বস্তুকে বিশ্লেষণ করবে। তিয়ানওয়েন-২ বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ কৌশল পরীক্ষা করবে, যেমন হোভারিং, একটি রোবোটিক আর্ম ব্যবহার করা এবং ড্রিল দিয়ে অ্যাঙ্করিং করা, যা গভীর মহাকাশ অনুসন্ধান এবং নমুনা ফেরত মিশনে চীনের সক্ষমতা বৃদ্ধি করবে।