ক্রান্তীয় ঝড় কালমাগি (তিনো)-এর তীব্রতা বৃদ্ধি: ফিলিপাইনের দিকে অগ্রসর
সম্পাদনা করেছেন: Tetiana Martynovska 17
নভেম্বর মাসের প্রথম দিনেই ফিলিপাইনের আবহাওয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে হাজির হয়েছে ক্রান্তীয় ঝড় কালমাগি, যা স্থানীয়ভাবে 'তিনো' নামে পরিচিতি লাভ করেছে। এটি ২০২২ সালের ২০তম ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। রবিবার, নভেম্বর ২, ২০২৫-এর শুরুর দিকে, ঝড়টির কেন্দ্র ফিলিপাইনের পূর্বাঞ্চলীয় ভিসায়াস থেকে প্রায় ১,৩২০ কিলোমিটার পূর্বে অবস্থান করছিল। ঝড়টি পশ্চিম-উত্তর-পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছিল এবং ধারণা করা হয়েছিল যে এটি আজ সকালেই ফিলিপাইন এলাকা বা PAR-এ প্রবেশ করবে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ঝড়টির সর্বোচ্চ স্থায়ী বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার ছিল, যা দমকা হাওয়ার ক্ষেত্রে ৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছিল। তবে, আবহাওয়াবিদরা আজই এটিকে তীব্র ক্রান্তীয় ঝড়ে এবং সোমবার, নভেম্বর ৩-এর মধ্যে সম্ভবত টাইফুনে রূপান্তরের পূর্বাভাস দিয়েছেন। পরবর্তীতে, রবিবার বিকেল ৫টার দিকে এটি তীব্র হয়ে ওঠে এবং সর্বোচ্চ স্থায়ী বাতাসের গতিবেগ ৯৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার ক্ষেত্রে ১১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছায়, যা এটিকে তীব্র ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত করে। এই দ্রুত তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা প্রকৃতির এক গভীর বার্তা বহন করে—যা আপাতদৃষ্টিতে ছোট, তা দ্রুত শক্তিশালী রূপ নিতে পারে।
PAGASA-এর তথ্য অনুযায়ী, ঝড়টি সোমবার গভীর রাতে বা মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪-এর ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় ভিসায়াস বা কারাগা অঞ্চলে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে। অতিরিক্ত তথ্যানুসারে, ঝড়টি টাইফুন পর্যায়ে পৌঁছানোর আগে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দ্রুত তীব্র হতে পারে এবং সোমবার, নভেম্বর ৩, বা মঙ্গলবার, নভেম্বর ৪, ভোরে পূর্বাঞ্চলীয় সমর বা দিনাগাত দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানতে পারে, যার সর্বোচ্চ বাতাসের গতিবেগ ১৫০ থেকে ১৫৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা হতে পারে। এই আঘাতের ফলে প্রবল বৃষ্টিপাত, উচ্চ গতির বাতাস, ব্যাপক বন্যা এবং ভূমিধসের ঝুঁকি তৈরি হবে। বিশেষ করে পূর্বাঞ্চলীয় ভিসায়াস এবং কারাগা অঞ্চলের উপকূলীয় এলাকায় তিন মিটার পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।
ঝড়টি ভিসায়াস এবং উত্তর পালাওয়ান অতিক্রম করার পর বুধবার, নভেম্বর ৫, সকালে বা বিকেলে পশ্চিম ফিলিপাইন সাগরে প্রবেশ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, জনগণের জন্য সতর্কতা অবলম্বন এবং নিজেদের সুরক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করা অপরিহার্য। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকা এবং একে অপরের প্রতি সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়াই এই সময়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
উৎসসমূহ
Rappler
Rappler
এই বিষয়ে আরও খবর পড়ুন:
আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?
আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।
