২৫শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে, শক্তিশালী টাইফুন Kajiki ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আঘাত হেনেছে। এই ঘূর্ণিঝড়টির বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ১৬৬ কিমি/ঘন্টা পর্যন্ত, যা ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। Kajiki-এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত এবং তীব্র বন্যা দেখা দিয়েছে, যার ফলে অন্তত সাতজনের মৃত্যু হয়েছে এবং দশজন আহত হয়েছেন। হাজার হাজার বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বিস্তৃত কৃষি জমি প্লাবিত হয়েছে, যা জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে।
ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অবকাঠামোগত ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অসংখ্য গাছ উপড়ে গেছে এবং বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়েছে, যার ফলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। রাজধানী হ্যানয়ের রাস্তাঘাট ডুবে গেছে, যা পরিবহন ব্যবস্থাকে অচল করে দিয়েছে। জাতীয় সড়কগুলোও বন্যার পানির নিচে তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
কর্তৃপক্ষ আগে থেকেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে লক্ষ লক্ষ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং জননিরাপত্তার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। এই টাইফুনটি প্রতিবেশী থাইল্যান্ডেও প্রভাব ফেলেছে, যেখানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে।
ভিয়েতনামের কৃষি খাতও Kajiki-এর কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রায় ২৮,৮০০ হেক্টর ধানের জমি প্লাবিত হয়েছে এবং ১৮,০০০ গাছ উপড়ে গেছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দেশের অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়েছে। কৃষি, লজিস্টিকস এবং পর্যটন খাত বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় এবং পুনরুদ্ধারের জন্য সরকার জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় Kajiki-এর মতো ঘূর্ণিঝড়গুলো আরও শক্তিশালী হচ্ছে এবং ঘন ঘন আঘাত হানছে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য উন্নত প্রস্তুতি এবং কার্যকর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অপরিহার্য।