পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরে 'কিকো' নামে একটি নতুন ক্রান্তীয় ঝড় সৃষ্টি হয়েছে। মেক্সিকোর উপকূল থেকে প্রায় ১,৬৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে-দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান। পূর্বে এটি ট্রপিক্যাল ডিপ্রেশন ইলেভেন-ই নামে পরিচিত ছিল।
বর্তমানে, কিকোর সর্বোচ্চ সহনীয় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৬৫ কিলোমিটার এবং দমকা হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৭৫ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাচ্ছে। ঝড়টি পশ্চিম দিকে ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে অগ্রসর হচ্ছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ২রা সেপ্টেম্বরের মধ্যে কিকো একটি ক্যাটাগরি ১ হারিকেনে পরিণত হতে পারে। সেই সময় এটি পুন্তা ইউজেনিয়ার প্রায় ২,১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে, এর বর্তমান অবস্থান এবং গতিপথ বিবেচনা করে, কিকো মেক্সিকোর জন্য কোনো হুমকি সৃষ্টি করবে না বলে মনে করা হচ্ছে। এটি একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঝড় হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। অতীতে মেক্সিকোর উপকূলে এমন শক্তিশালী ঝড়ের কারণে একটি নৌকা উল্টে ১৫ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। যদিও এই নির্দিষ্ট ঝড়টি স্থলভাগের জন্য কোনো ঝুঁকি তৈরি করছে না, তবে এর শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
উল্লেখ্য, 'কিকো' নামটি এর আগেও পূর্ব প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন, ১৯৮৯ সালে হারিকেন কিকো মেক্সিকোর বাজা ক্যালিফোর্নিয়া উপদ্বীপে আঘাত হেনেছিল এবং সামান্য ক্ষতি সাধন করেছিল। ২০০৭ সালে ট্রপিক্যাল স্টর্ম কিকো মেক্সিকোর উপকূলে ১৫ জনের মৃত্যুর কারণ হয়েছিল, যদিও এটি সরাসরি স্থলভাগে আঘাত হানেনি। এই ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটগুলো ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ এবং তাদের সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে একটি ধারণা দেয়।