আগস্ট ১৪, ২০২৫: পশ্চিম কলোরাডোতে ভয়াবহ দাবানল অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে এবং ব্যাপক উচ্ছেদ অভিযান চলছে। লি ফায়ার, যা মেকারের কাছে শুরু হয়েছিল, রাজ্যের ইতিহাসে পঞ্চম বৃহত্তম দাবানলে পরিণত হয়েছে। ১২৩,২২২ একর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত এই আগুন মাত্র ৩% নিয়ন্ত্রণে এসেছে। একই সাথে, এল্ক ফায়ার, যা একই দিনে শুরু হয়েছিল, ১৪,৫৪৯ একর এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে। উভয় আগুনই বজ্রপাতের কারণে সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে। কলোরাডোর গভর্নর জ্যারেড পলিস ৫ আগস্ট, ২০২৫ তারিখে একটি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যা লি ফায়ার সহ পশ্চিম কলোরাডোর চারটি দাবানলকে অন্তর্ভুক্ত করে। লি ফায়ারের দ্রুত বিস্তারের কারণে ১৭৯ জন কারাবন্দীকে রাইফেল সংশোধন কেন্দ্র থেকে সরিয়ে নিতে হয়েছে। বোল্ডার কাউন্টিও উচ্চ অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকির কারণে পর্যায় ১ ফায়ার বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। শুষ্ক ও উত্তপ্ত আবহাওয়া এবং বজ্রপাতের পূর্বাভাস পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে।
দমকল কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, তবে উচ্চ বাতাস, কম আর্দ্রতা এবং শুষ্ক ভূখণ্ড তাদের কাজকে কঠিন করে তুলেছে। রাজ্য জুড়ে প্রায় ২,৪০০ কর্মী নয়টি বড় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, যা ১৮৫,০০০ একরেরও বেশি এলাকা গ্রাস করেছে। দমকল কর্মীদের সহায়তার জন্য ৪১টি বিমান ব্যবহার করা হচ্ছে। গভর্নর পলিস এই পরিস্থিতিকে "রেকর্ড-স্তরের" অগ্নিকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন এবং জরুরি প্রতিক্রিয়া তহবিলে অতিরিক্ত ২.৫ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছেন। ঐতিহাসিক তথ্য অনুযায়ী, কলোরাডোতে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বৃদ্ধি পেয়েছে; ২০২০ সালে রাজ্যের ইতিহাসে তিনটি বৃহত্তম দাবানল ঘটেছিল। জলবায়ু পরিবর্তন এবং শুষ্ক আবহাওয়া এই ধরনের ঘটনা বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।