গুজরাটের জুনাগড় জেলায় ১৯শে আগস্ট, ২০২৫ তারিখে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বেশ কয়েকটি তালুকায় মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যে ১২৯ মিমি-র বেশি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যার ফলে বাঁধ ও নদীগুলি উপচে পড়েছে।
নিম্নভূমিগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ে, যার ফলে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) দ্বারা ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। বন্যার জল বৃদ্ধির কারণে স্কুল পড়ুয়া এবং শিক্ষক সহ বহু মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। এই পরিস্থিতির কারণে প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে বাস পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর (IMD) গুজরাটের এবং পার্শ্ববর্তী কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির বেশ কয়েকটি জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছিল। কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং ব্যাপক বন্যার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষদের সহায়তা প্রদান করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের চরম আবহাওয়ার ঘটনাগুলি বাড়ছে। গত বছর, আগস্টের শেষ সপ্তাহে, গুজরাটের বিভিন্ন জেলায় ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল, যার ফলে প্রায় ৪৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবং প্রায় ৩৭,০০০ মানুষকে উদ্ধার করতে হয়েছিল। এই ঘটনাগুলি শহুরে পরিকল্পনা এবং পরিকাঠামোর স্থিতিস্থাপকতা পুনর্বিবেচনা করার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছে।
বিশেষ করে, জামনগর এবং দেবভূমি দ্বারকার মতো জেলাগুলিতে তিন দিনের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ তাদের ১০ বছরের প্রত্যাশিত মাত্রাকেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল, যা এই ঘটনার দীর্ঘস্থায়ী এবং তীব্র প্রকৃতিকে নির্দেশ করে। এই ধরনের পরিস্থিতি জরুরি প্রতিক্রিয়া এবং উচ্ছেদ প্রচেষ্টাকে জটিল করে তোলে কারণ সম্পদগুলি একাধিক প্রভাবিত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। এই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে, রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং বাসিন্দাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এই ঘটনাগুলি একটি স্মরণ করিয়ে দেয় যে প্রকৃতির শক্তির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য আমাদের প্রস্তুতি এবং অভিযোজন ক্ষমতা বৃদ্ধি করা কতটা গুরুত্বপূর্ণ।