৮ জুলাই ২০২৫ তারিখে, গুয়াতেমালা একাধিক ভূমিকম্পের ধাক্কায় কাঁপে, যার ফলে দেশটির বিভিন্ন অঞ্চলে প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষতি ঘটে।
প্রধান ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল সাকাটেপেকেজ বিভাগের মধ্যে, এবং এর পরবর্তীতে এসকুইন্টলা ও গুয়াতেমালা বিভাগে কম্পন অনুভূত হয়। ৩.০ থেকে ৫.৭ মাত্রার মধ্যে ৩৭টিরও বেশি ভূমিকম্প ও পরবর্তী কম্পন রেকর্ড করা হয়েছে। এটি দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-প্রাকৃতিক দুর্যোগের মতোই গভীর উদ্বেগের বিষয়, যেখানে আমাদের অঞ্চলের মানুষেরাও প্রায়শই ভূমিকম্পের প্রভাবের মুখোমুখি হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (USGS) ৩:১১ পিএম-এ আমাতিতলান থেকে ৪ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে ১০ কিলোমিটার গভীরে ৪.৮ মাত্রার ভূমিকম্পের তথ্য প্রদান করেছে।
এসকুইন্টলা বিভাগের একটি যানবাহনের ওপর বড় পাথর পড়ে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। কমপক্ষে পাঁচজন ভূমিধসে চাপা পড়েন; তাদের মধ্যে দুইজনকে এসকুইন্টলা ও সাকাটেপেকেজ পৌরসভায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনাগুলো আমাদের মনে করিয়ে দেয় প্রাকৃতিক দুর্যোগে মানবজীবনের অমূল্যতা এবং সহমর্মিতার প্রয়োজনীয়তা।
৬৪টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৪৬টি গম্ভীরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। আমাতিতলান, আন্টিগুয়া গুয়াতেমালা, ও সান ভিসেন্তে প্যাকায়ার মতো স্থানে অনেক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে, এবং সান্তা মারিয়া দে জেসুসের একটি গির্জাও গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতে ধর্মীয় ও ঐতিহাসিক স্থাপনার প্রতি যে গভীর শ্রদ্ধা রয়েছে, তা এই ক্ষতিগ্রস্ত গির্জার খবর আমাদের হৃদয়ে গভীর ছাপ ফেলে।
রাষ্ট্রপতি বার্নার্দো আরেভালো সরকারি খাতে সরাসরি কাজ স্থগিতের নির্দেশ দেন এবং বেসরকারি খাতকে দূরশিল্পের মাধ্যমে কাজ করার পরামর্শ দেন, যাতে উদ্ধারকর্মীরা জরুরি অবস্থায় সুষ্ঠুভাবে কাজ করতে পারেন। গুয়াতেমালা, এসকুইন্টলা, ও সাকাটেপেকেজ বিভাগে স্কুলও বন্ধ রাখা হয়। এই ধরনের সতর্কতা আমাদের অঞ্চলের শিক্ষাব্যবস্থায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় যে গুরুত্ব দেয় তার প্রতিফলন।
৯ জুলাই ২০২৫ পর্যন্ত, কর্তৃপক্ষ ক্ষতির পরিমাণ মূল্যায়ন ও উদ্ধারকাজ এবং আহতদের সহায়তা সমন্বয় করে চলেছে। জনগণকে সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে তথ্য গ্রহণ করতে এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলতে অনুরোধ করা হয়েছে। আমাদের সংস্কৃতিতে তথ্যের যথাযথতা ও কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মেনে চলার গুরুত্ব অপরিসীম, যা এই সংকটকালীন সময়ে বিশেষ প্রাসঙ্গিক।