বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা (WMO) আগামী কয়েক বছরে বিশ্বব্যাপী তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা উল্লেখ করেছে, যা জলবায়ু পরিবর্তনের বাড়তে থাকা প্রভাবকে স্পষ্ট করে। ২০২৯ সালের মধ্যে অন্তত একটি বছর প্রাক-শিল্পায়নের স্তর থেকে ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি উষ্ণতার সম্ভাবনা ৮০%, যা পরিবেশ রক্ষার জরুরি প্রয়োজনীয়তাকে তুলে ধরে।
বর্তমানে বিভিন্ন অঞ্চল তীব্র তাপপ্রবাহের সম্মুখীন, যার ফলে পরিবেশে গুরুতর প্রভাব পড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে রেকর্ড তাপমাত্রা দেখা গেছে, যা শক্তি ব্যবহারে বৃদ্ধি এবং বাস্তুতন্ত্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। ইউরোপের গ্রিস, স্পেন ও ফ্রান্সসহ দেশগুলোতে চরম পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যা বনজাহ্নের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যের ওপর প্রভাব ফেলছে। যুক্তরাজ্যে অস্বাভাবিক গরমের কারণে স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে, যা পরিবেশগত ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলোকে আরও জোরালো করেছে।
বিজ্ঞানীরা এই ঘটনাগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তন এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাগুলোর সঙ্গে যুক্ত করেছেন, যেমন জেট স্ট্রিমের কোয়াসি-রেজোন্যান্ট অ্যাম্প্লিফিকেশন, যা বায়ুমণ্ডলীয় সিস্টেমগুলোকে স্থবির করে তোলে। আর্টিক অঞ্চলের উষ্ণতা গ্লোবাল গড়ের তিনগুণেরও বেশি, যা বরফ গলন ত্বরান্বিত করছে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের বৃদ্ধি ও বাসস্থানের ক্ষয় সাধন করছে। আন্তর্জাতিক রেড ক্রস ফেডারেশন (IFRC) দুর্বল জনগোষ্ঠীর সহায়তা প্রদান করছে, পরিবেশগত পরিবর্তনের মানবিক প্রভাব মোকাবেলায়।