তুরস্কের বিভিন্ন অঞ্চলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে পরিযায়ী পাখিদের আচরণে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় দিয়ারবাকির শহরে সাদা-লেজযুক্ত ঈগল, সারস এবং হাঙ্গেরীয় হাঁসের প্রজনন চক্রে পরিবর্তন ঘটেছে। এই পাখিরা বসন্তকালে ফিরে আসার পরিবর্তে গ্রীষ্মকালে প্রজনন করছে, যা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্র এবং মানুষের সামাজিক জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলছে।
এছাড়াও, মধ্য আনাতোলিয়ার বুরদুর লেকে স্পার-উইংড ল্যাপউইংড (Vanellus spinosus) প্রজাতির প্রথম প্রজনন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই প্রজাতি সাধারণত আফ্রিকার কেন্দ্রীয় অঞ্চলে প্রজনন করে, তবে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাদের প্রজনন ক্ষেত্র সম্প্রসারিত হয়েছে।
তুরস্কের অন্যান্য অঞ্চলেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে। উদাহরণস্বরূপ, কিজিলিরমাক ডেল্টায় পাখি রিংগিং স্টেশনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির আগমন সময়ে বিলম্ব এবং অবস্থানের সময়ে বৃদ্ধি দেখা গেছে। এছাড়াও, মালাজগির্ট সমভূমিতে উষ্ণতর শীতকাল এবং বিলম্বিত তুষারপাতের কারণে পাখিরা ঐ অঞ্চলে শীতকাল কাটাচ্ছে, যা তাদের প্রাকৃতিক অভ্যাসে পরিবর্তন ঘটাচ্ছে।
এই পরিবর্তনগুলি তুরস্কের বাস্তুতন্ত্র এবং স্থানীয় জনগণের জীবনযাত্রায় গভীর প্রভাব ফেলছে। পাখিদের প্রজনন চক্রে পরিবর্তন এবং অভিবাসন প্যাটার্নে পরিবর্তন স্থানীয় কৃষি, পর্যটন এবং সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে প্রভাব ফেলছে।
এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিবেশবিদরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের সুরক্ষা, প্রাকৃতিক আবাসস্থল সংরক্ষণ এবং পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতির প্রচলন এই পরিবর্তনগুলির প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।