সারা বিশ্বের সিসমোমিটারগুলি প্রতি ২৬ সেকেন্ডে ঘটে যাওয়া একটি ছন্দময় স্পন্দন সনাক্ত করতে থাকে। এই মাইক্রোসিসম, যা মানুষের দ্বারা সনাক্ত করা যায় না, ১৯৬০-এর দশকে এর প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ থেকে বিজ্ঞানীদের ধাঁধাঁয় ফেলেছে। এই সংকেতগুলি পশ্চিম আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং ইউরোপে সবচেয়ে স্পষ্ট।
স্পন্দনের উৎস পশ্চিম আফ্রিকার উপকূল থেকে দূরে গিনি উপসাগরে সনাক্ত করা হয়েছে। গবেষকরা ২০০৫ সালে ডিজিটাল সিসমিক ডেটা ব্যবহার করে সংকেতটি পুনরায় আবিষ্কার করেন, যা এর ধারাবাহিক এবং অবিরাম প্রকৃতিকে চিহ্নিত করে। চলমান তদন্ত সত্ত্বেও, সঠিক কারণ অজানা রয়ে গেছে।
তত্ত্বগুলির মধ্যে মহাদেশীয় শেল্ফের উপর প্রভাব সৃষ্টিকারী সমুদ্রের ঢেউ থেকে শুরু করে সাও টোমে দ্বীপের কাছে সম্ভাব্য আগ্নেয়গিরির কার্যকলাপ পর্যন্ত অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। কিছু বিজ্ঞানী প্রস্তাব করেন যে সমুদ্রের তলদেশের নীচে পললগুলিতে ফ্র্যাক্টাল ফিশার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে প্রবাহিত তরল কারণ হতে পারে। এই রহস্য ২০২৫ সালেও ভূমিকম্পবিদদের কৌতূহল ধরে রেখেছে, যা এই ব্যাখ্যাতীত ঘটনার আরও গবেষণাকে চালিত করছে।