২০২৫ সালের জুলাই মাসে, নেভাল পোস্টগ্র্যাজুয়েট স্কুল (এনপিএস) ক্যালিফোর্নিয়ার মন্টেরি উপকূলের কাছে একটি স্ব-চালিত সমুদ্র বয়া স্থাপন করে। এই উদ্ভাবনী বয়াটি সমুদ্রবিদ্যা এবং আবহাওয়াবিদ্যা সংক্রান্ত সেন্সরগুলিকে ৫জি যোগাযোগের সাথে একত্রিত করে, যা নিরবচ্ছিন্ন, রিয়েল-টাইম ডেটা সংগ্রহের সুযোগ তৈরি করে। এই প্রযুক্তি সমুদ্র গবেষণায় এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ওশান পাওয়ার টেকনোলজিস (ওপিটি) এবং এ টি অ্যান্ড টি-র সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি এই বয়াটি ওপিটি-র পাওয়ারবয়া প্রযুক্তি ব্যবহার করে, যা সৌর ও বায়ু শক্তি দ্বারা চালিত। এটিতে সমুদ্রের নিচের, উপরিভাগের এবং বায়ুমণ্ডলের সেন্সর রয়েছে, সেইসাথে একটি ৫জি মেরিটাইম বেস স্টেশন রয়েছে, যা নাবিকদের জন্য উচ্চ-গতির ডেটা অ্যাক্সেস বাড়ায়। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে, ৫জি প্রযুক্তির কারণে ডেটা ট্রান্সমিশন ক্ষমতা আগের প্রযুক্তির তুলনায় প্রায় ১৫ গুণ বেড়েছে, যা সমুদ্র গবেষণা এবং বিশ্লেষণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তি বঙ্গোপসাগরের মতো বিশাল সমুদ্র অঞ্চলে ডেটা সংগ্রহের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে, সমুদ্র সংক্রান্ত তথ্যের আদান-প্রদান আরও দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য হবে, যা নৌবাহিনীর কার্যক্রম এবং সমুদ্র নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে। ভবিষ্যতে, এই ধরনের প্রযুক্তি জলবায়ু পরিবর্তন এবং সমুদ্র দূষণ মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার আমাদের সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।