২০২৬ সালে, ফরাসি নৌবহরে যুক্ত হতে চলেছে অত্যাধুনিক গবেষণা জাহাজ আনিতা কন্টি। এই নতুন জাহাজটি ফ্রান্সের সমুদ্র বিজ্ঞান অনুসন্ধানের ক্ষমতা অনেক বাড়িয়ে দেবে। এই প্রেক্ষাপটে, আমরা এর সম্ভাব্য প্রভাব এবং বাংলাদেশের জন্য এর প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে আলোচনা করব।
আনিতা কন্টি, যা IFREMER এবং ফ্রেইরি শিপইয়ার্ডের যৌথ উদ্যোগে তৈরি হয়েছে, উপকূলীয় গবেষণা মিশনে বিশেষভাবে উপযোগী। এর মধ্যে রয়েছে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল এবং ভূমধ্যসাগরের কিছু অংশ। এই জাহাজে ১২ জন ক্রু এবং ১০ জন বিজ্ঞানী থাকতে পারবেন। আমাদের অনুসন্ধানে জানা যায়, এই ধরনের উন্নত প্রযুক্তি এবং গবেষণা ক্ষমতা বাংলাদেশের সমুদ্র গবেষণা এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবগুলি বুঝতে সহায়ক হতে পারে।
আনিতা কন্টি পরিবেশগত স্থিতিশীলতার উপর জোর দেয়, যার মধ্যে রয়েছে ডিজেল-বৈদ্যুতিক প্রপালশন সিস্টেম এবং ব্যাটারি প্যাক। এই জাহাজের উন্নত প্রযুক্তি সমুদ্রের তলদেশ অনুসন্ধান, মানচিত্র তৈরি এবং বৈজ্ঞানিক কার্যক্রমের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। সম্প্রতি একটি গবেষণা বলছে, সমুদ্র গবেষণা জলবায়ু পরিবর্তন এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উপর গভীর প্রভাব ফেলে। এই জাহাজ সেই গবেষণা আরও উন্নত করবে। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে এই ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমাদের দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
আশা করা যায়, আনিতা কন্টি ফ্রান্সের সমুদ্র গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে এবং এর থেকে অর্জিত জ্ঞান বাংলাদেশের সমুদ্র বিজ্ঞানীদের জন্য মূল্যবান হবে। এটি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং সমুদ্র সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহায়ক হবে।