সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রকাশিত হয়েছে যে, গরম হওয়া জল, কমে যাওয়া বাতাসের প্রবাহ এবং বৃদ্ধি পাচ্ছে অ্যাসিডিফিকেশন—এসব কারণে আর্কটিক মহাসাগরের অক্সিজেন স্তর উদ্বেগজনক হারে কমছে। এই পরিবর্তনগুলি আর্কটিক বাস্তুতন্ত্রের উপর গভীর চাপ সৃষ্টি করছে, যা আমাদের অবিরাম পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তা স্মরণ করিয়ে দেয়।
বিজ্ঞানীরা অক্সিজেনহীনতার কারণ হিসেবে কয়েকটি দিক তুলে ধরেছেন, যেমন অক্সিজেনের দ্রবণীয়তার পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের বৃদ্ধি এবং শারীরিক প্রক্রিয়া। Southern Ocean Carbon and Climate Observations and Modeling (SOCCOM) প্রকল্প উন্নত আরগো ফ্লোট ব্যবহার করে, যা বায়োগিয়োকেমিক্যাল সেন্সর দ্বারা সজ্জিত, এই পরিবর্তনগুলি পর্যবেক্ষণ করছে। দক্ষিণ এশিয়ার জলবায়ু ও পরিবেশগত প্রেক্ষাপটে, এই ধরনের প্রযুক্তিগত অগ্রগতি আমাদের জন্যও দৃষ্টান্তস্বরূপ।
অক্সিজেন ন্যূনতম অঞ্চলের (OMZs) বিস্তার বিশেষত উদ্বেগজনক একটি প্রবণতা, যা সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং পুষ্টি চক্রকে ব্যাহত করছে। মার্কিন কোস্ট গার্ড আর্কটিকে তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে, পরিবেশগত পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ এবং জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে গবেষণা মিশন পরিচালনা করছে। এই পরিস্থিতি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, আমাদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও প্রাকৃতিক সম্পদের সংরক্ষণ কতটা জরুরি, যা আমাদের বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়ের অংশ।