হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নায়াব সিং সাইনি ২৮ জুলাই, ২০২৫ তারিখে যমুনানগরের কালেসরে ৭৬তম বন মহোৎসবের নেতৃত্ব দেন, যা পরিবেশগত স্থিতিশীলতাকে উৎসাহিত করে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল সমগ্র হরিয়ানায় ২.১০ কোটি চারা রোপণ করা।
অনুষ্ঠানে কালেসরের জীববৈচিত্র্য এবং পরিবেশ-পর্যটনের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে কালকা থেকে কালেসর পর্যন্ত অঞ্চলটিকে একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে।
বৃক্ষরোপণ উদ্যোগের পাশাপাশি, সরকার বন ও বন্যপ্রাণী সুরক্ষার প্রচেষ্টা জোরদার করছে, যার মধ্যে রয়েছে টহল বৃদ্ধি এবং চোরাশিকার বিরোধী ব্যবস্থা।
"প্রাণ বায়ু দেবতা পেনশন স্কিম" ঐতিহ্যবাহী গাছগুলির রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে।
২০২৪ সালে শুরু হওয়া "এক পেড় মা কে নাম" অভিযান, যা মায়েদের সম্মান জানিয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় উৎসাহিত করে, তার বিস্তার ঘটানো হয়েছে।
ফ্রন্টলাইন-দ্য হিন্দু এর মতে, প্রতি বছর জুলাই মাসে দেশে কয়েক মিলিয়ন চারা রোপণ করা হয়।
বন মহোৎসবের লক্ষ্য হল সবুজ আচ্ছাদন বৃদ্ধি করা, বনভূমি উজাড় করা এবং পরিবেশ সচেতনতা তৈরি করা।
এছাড়াও, বনভূমি সংরক্ষণে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য প্রতি বছর সারা বিশ্বে ২১শে মার্চ আন্তর্জাতিক বন দিবস পালিত হয়। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ২০১২ সালে এই দিনটিকে আন্তর্জাতিক বন দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এবারের বন দিবসের প্রতিপাদ্য হলো “বন বনানী সংরক্ষণ, খাদ্যের জন্য প্রয়োজন”।
বন থেকে প্রাপ্ত ফলমূল, বাদাম, মধু, ভেষজ উদ্ভিদ, মাশরুম ও শাকসবজি অনেক জনগোষ্ঠীর খাদ্য তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে। বনভূমি উজাড় হলে খাদ্য উৎপাদনও হুমকির মুখে পড়ে। সঠিকভাবে বন সংরক্ষণ করলে তা দীর্ঘমেয়াদে খাদ্য উৎপাদনশীলতা বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বন মহোৎসবের মাধ্যমে হরিয়ানা একটি সবুজ ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।