দুর্যোগের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ মধু মৌমাছির পুনর্জীবন: স্থিতিস্থাপকতার এক চিত্র

সম্পাদনা করেছেন: Anulyazolotko Anulyazolotko

২০১৭ সালের জুন মাসে, দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূলীয় শহরগুলো—কনিসনা, সেজফিল্ড এবং প্লেটেনবার্গ বে—এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বিধ্বস্ত হয়। এই অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ মিলিয়ন কেপ মধু মৌমাছি প্রাণ হারায়, এবং প্রাকৃতিক পরিবেশ ও মধুর উৎসসমূহ ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, যা বেঁচে থাকা পরাগায়কদের জন্য এক ভয়াবহ সংকট সৃষ্টি করে।

অসীম ক্ষতির মধ্যেও, কিছু মৌমাছি, বিশেষ করে যেসব দলবদ্ধভাবে স্থান পরিবর্তন করত, জীবনযুদ্ধে টিকে থাকে। খাদ্যের অভাবে তারা ক্ষুধার্ত ছিল। মানবিক সংগঠন গিফট অব দ্য গিভার্স জরুরি পরিস্থিতিতে চিনি সিরাপ ও পরাগ বিকল্প সরবরাহ করে বেঁচে থাকা মৌমাছিদের সহায়তা করে।

হাজারো মৌমাছির ছাতা দান করা হয়, যা হারানো ছাতাগুলোকে প্রতিস্থাপন করে, এবং মৌমাছি পালনকারীদের তাদের অপরিহার্য কাজ চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়। দুই বছর পর, কেপ মধু মৌমাছির সংখ্যা স্থিতিশীল হতে শুরু করে। ২০২৫ সালের জুলাই পর্যন্ত, কেপ মধু মৌমাছির জনসংখ্যা শুধুমাত্র পুনরুদ্ধার হয়নি, বরং সমৃদ্ধ হয়েছে, যা পরিবেশের পুনর্জীবন এবং স্থানীয় জীববৈচিত্র্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে—এটি স্থিতিস্থাপকতা ও প্রাকৃতিক পুনরুত্থানের এক অনন্য গল্প।

উৎসসমূহ

  • CapeTown ETC

  • Cape honey bee

  • Honeybee Heroes

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।