একটি নতুন গবেষণা প্রকাশ করেছে যে মঙ্গোলিয়ার ৩২১ কিলোমিটার দীর্ঘ গোবি প্রাচীরটি কেবল একটি প্রতিরক্ষামূলক বাধা ছিল না। অধ্যাপক গিডিয়ন শেলাচ-লাভির নেতৃত্বে, মঙ্গোলিয়া জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক চুনাগ আমার্তুভশিন এবং ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক উইলিয়াম হানিচার্চের সহযোগিতায় মঙ্গোলিয়ায় পরিচালিত গবেষণাটি এটিকে শি জিয়া রাজবংশের (১০৩৮-১২২৭ খ্রিস্টাব্দ) একটি অত্যাধুনিক সরঞ্জাম হিসাবে প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক গবেষণা দল প্রাচীরের গতিপথ এবং নির্মাণ কৌশলগুলি মানচিত্রের জন্য রিমোট সেন্সিং, সমীক্ষা এবং খনন একত্রিত করেছে। প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ ইঙ্গিত দেয় যে নির্মাতারা শুষ্ক ভূদৃশ্যের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে স্থানীয় সম্পদ যেমন রামড আর্থ, পাথর এবং কাঠ ব্যবহার করেছিলেন। গ্যারিসন সাইটগুলি কৌশলগতভাবে জল এবং বনভূমিতে প্রবেশের জন্য স্থাপন করা হয়েছিল, যা সামরিক, অর্থনৈতিক এবং পরিবেশগত চাহিদাগুলিকে একীভূত করে।
গোবি প্রাচীর প্রাথমিকভাবে শি জিয়া রাজবংশের সময় সাম্রাজ্যিক কর্তৃত্বের একটি শারীরিক প্রকাশ হিসাবে কাজ করত, বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণ করত, যাযাবর গতিশীলতা পরিচালনা করত এবং সম্পদ উত্তোলনে সহায়তা করত। প্রত্নতাত্ত্বিক রেকর্ড খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দী থেকে ১৯ শতক খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এর ব্যবহার দেখায়, যা এর স্থায়ী কৌশলগত প্রাসঙ্গিকতাকে তুলে ধরে। এই গবেষণা গোবি প্রাচীরকে একটি বহুমুখী অবকাঠামো হিসাবে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করে যা মধ্যযুগীয় অভ্যন্তরীণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক এবং পরিবেশগত প্রেক্ষাপটে একটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।