ফারাসান দ্বীপপুঞ্জে সম্প্রতি একটি সৌদি-ফরাসি প্রত্নতাত্ত্বিক খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছে, যা এই অঞ্চলের প্রাচীন মানব বসতি এবং লোহিত সাগরের সামুদ্রিক বাণিজ্যে এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সম্পর্কে তাৎপর্যপূর্ণ অন্তর্দৃষ্টি প্রকাশ করেছে। এই যৌথ প্রচেষ্টায় সৌদি হেরিটেজ কমিশন, প্যারিস 1 প্যান্থেওন-সোরবোন বিশ্ববিদ্যালয় এবং ফরাসি জাতীয় বৈজ্ঞানিক গবেষণা কেন্দ্র (সিএনআরএস) জড়িত ছিল।
মাঠ পর্যায়ে আল-কাসার, আল-ঘুরেইন এবং ওয়াদি শামির প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানগুলিতে খনন করা হয়েছে। এই মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল কবরস্থানগুলি অধ্যয়ন করা এবং দক্ষিণ লোহিত সাগর দ্বীপপুঞ্জে মানুষের কার্যকলাপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য বসতি স্থাপনের পর্যায়গুলির মানচিত্র তৈরি করা।
2011 থেকে 2024 সাল পর্যন্ত খননকার্যের ফলে ব্রোঞ্জ যুগের ধ্বংসাবশেষের পাশাপাশি দক্ষিণ আরবের রাজ্যগুলির প্রমাণও পাওয়া গেছে। এছাড়াও, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার এবং শিল্প স্থাপনাগুলিও পাওয়া গেছে, যা খ্রিস্টপূর্ব ২য় শতাব্দীর একটি সামরিক শিবির বলে মনে করা হয় এবং যা সামুদ্রিক বাণিজ্য পথ নিরীক্ষণের জন্য ব্যবহৃত হত। এই আবিষ্কারগুলি দক্ষিণ আরব এবং ভূমধ্যসাগরের প্রাচীন সভ্যতাগুলিকে সংযুক্ত করতে ফারাসানের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার উপর আলোকপাত করে।