২০২৫ সালের জুলাই মাসে, তাজিকিস্তানের ফারব গ্রাম সংলগ্ন, মধ্যযুগীয় পানজাকেন্ট শহরের নিকটে, একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাচীন সমাধিক্ষেত্র আবিষ্কার করেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা। তাজিক একাডেমি অফ সায়েন্সেসের ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব ও নৃতত্ত্ব ইনস্টিটিউটের নেতৃত্বে পরিচালিত এই খনন কাজটি প্রাচীন সোগদীয় সংস্কৃতির কবরদাফত প্রথা নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রদান করে।
সমাধিক্ষেত্রে তিনটি নাওস (গম্বুজাকৃত কবরকক্ষ) লোয়েস পর্বতমালায় খোদাই করা ছিল। এর ভিতরে গবেষকরা খুঁজে পান খিলানাযুক্ত গুহা, নয়জন ব্যক্তির অবশেষ, অস্থিকোষ এবং একটি সোগদীয় মুদ্রা। এই স্থানে মিশ্র কবরদাফত পদ্ধতি পাওয়া গেছে, যার মধ্যে রয়েছে গুহাকবর এবং সরাসরি দেহ দাফন, যা প্রচলিত জোরোয়াস্ট্রিয়ান প্রথার থেকে ভিন্ন।
জাতীয় প্রাচীনতাত্ত্বিক সংগ্রহশালার পরিচালক আবদুরাহমন পুলোতোভ এই অদ্ভুত কবরদাফত পদ্ধতির সংমিশ্রণকে বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। প্রাচীন কেশ নদীর (বর্তমানে কাশকাদারজা) নিকটবর্তী ফারব অঞ্চল প্রাচীন সোগদিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ছিল।
প্রত্নতত্ত্ববিদরা দেহাবশেষের ডিএনএ বিশ্লেষণ করার পরিকল্পনা করছেন যাতে পারিবারিক সম্পর্ক নির্ণয় করা যায়। পুলোতোভ এই স্থানের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা নিয়ে আশাবাদী, এবং গবেষণা অব্যাহত রাখার প্রয়োজনীয়তা জোর দিয়ে বলেছেন।
এই আবিষ্কার তাজিকিস্তানের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানসমূহ সংরক্ষণের গুরুত্বকে তুলে ধরে, যা মধ্য এশিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাসের অমূল্য তথ্য উন্মোচন করে চলেছে। বাংলাদেশের এবং পশ্চিমবঙ্গের পাঠকদের জন্য এটি আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক গৌরবের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ একটি স্মারক, যা আমাদের অতীতের গভীরতা ও বৈচিত্র্যকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে।