প্রাচীন মিশরের জিনোম সিকোয়েন্সিং: অপ্রত্যাশিত বংশগতির রহস্য উন্মোচিত

সম্পাদনা করেছেন: Anna 🌎 Krasko

গবেষকরা সফলভাবে প্রাচীন মিশরের এক ব্যক্তির সম্পূর্ণ জিনোম সিকোয়েন্স করেছেন, যা পুরাতন রাজ্য যুগের জেনেটিক গঠন সম্পর্কে অভূতপূর্ব অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করেছে। এই গবেষণাটি ২ জুলাই ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত হয়েছে।

প্রায় ৪,৫০০ থেকে ৪,৮০০ বছর পুরনো এই অবশেষগুলি ১৯০২ সালে নিউওয়াইরাত নামক গ্রামে আবিষ্কৃত হয়, যা কায়রো থেকে ২৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত। ব্যক্তিটি একটি মাটির পাত্রের মধ্যে পাথরের কাটা সমাধিতে দাফন করা হয়েছিল।

জিনোম বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ব্যক্তিটির ৮০% বংশগতির উৎস প্রাচীন উত্তর আফ্রিকার জনগোষ্ঠীর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সংশ্লিষ্ট। বাকি ২০% উৎস উর্বর ক্রিসেন্ট, বিশেষ করে মেসোপটেমিয়ার দিকে নির্দেশ করে, যা প্রাচীন মিশরের সাথে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রাচীন সভ্যতার পারস্পরিক ক্রিয়া ও অভিবাসনের প্রমাণ বহন করে।

গাঁটে আর্থ্রাইটিস ও অস্টিওপরোসিসের চিহ্ন থেকে বোঝা যায় যে ব্যক্তি সম্ভবত ষাটের দশকে প্রবীণ বয়সে জীবনযাপন করতেন। হাড়ের পরিধানের চিহ্নগুলি তার কঠোর শারীরিক পরিশ্রমের জীবনযাত্রার কথা বলে, সম্ভবত তিনি একজন মৃৎশিল্পী ছিলেন।

এই গবেষণাটি প্রাচীন ডিএনএ বিশ্লেষণে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি চিহ্নিত করে, যা পূর্বের চ্যালেঞ্জগুলোকে অতিক্রম করেছে। সফল সিকোয়েন্সিং প্রাচীন মিশরীয় জনবসতির জেনেটিক ইতিহাস বোঝার নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।

গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে একক নমুনা থেকে সার্বিক সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। ব্যাপক ও সমন্বিত বোঝাপড়ার জন্য আরও নমুনার উপর গবেষণা প্রয়োজন।

এই ফলাফলগুলি প্রাচীন মিশরের বিকাশে অভিবাসন ও পারস্পরিক ক্রিয়ার জটিল নেটওয়ার্ককে তুলে ধরে। ভবিষ্যতে আরও জিনোম সিকোয়েন্স করা হবে, যা আরও গভীর অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

উৎসসমূহ

  • Scientific American

  • DNA shows ancient Egyptians had surprising foreign roots – DW

  • The first genome sequenced from ancient Egypt reveals surprising ancestry, scientists say | CNN

  • This ancient Egyptian left behind 4,500-year-old DNA. It was used to recreate his face. | National Geographic

আপনি কি কোনো ত্রুটি বা অসঠিকতা খুঁজে পেয়েছেন?

আমরা আপনার মন্তব্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিবেচনা করব।