সম্প্রতি, একাডেমিক ভার্নাডস্কি স্টেশনে বিরল মেরু স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক মেঘ দেখা গেছে [১, ২]। বিজ্ঞানীরা এই ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সম্পর্কিত বলে মনে করছেন [৩, ৪]।
মেরু স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক মেঘ, যা ন্যাক্রিয়াস মেঘ নামেও পরিচিত, সাধারণত নিম্ন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে গঠিত হয়, যেখানে তাপমাত্রা প্রায় -78 ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকে [২]। এই মেঘগুলো ছোট বরফের স্ফটিক দিয়ে গঠিত [২]। সূর্যাস্তের পর এদের উজ্জ্বল রং বিশেষভাবে চোখে পড়ে [২]।
এই মেঘগুলো সাধারণত মেরু অঞ্চলে শীত ও বসন্তকালে ১৫ থেকে ২৭ কিলোমিটার উচ্চতায় দেখা যায় [২]। যখন বাতাস পর্বতশৃঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, তখন এই মেঘ তৈরি হতে পারে [২]। মেরু অঞ্চলে ট্রপোস্ফিয়ারের উচ্চতা কম হওয়ার কারণে বাতাস স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারে পৌঁছালে মেঘের সৃষ্টি হয় [২]।
একাডেমিক ভার্নাডস্কি স্টেশনে গ্রীষ্মকালে এই মেঘের উপস্থিতি বিজ্ঞানীদের বিশেষভাবে আকর্ষণ করেছে, কারণ এটি সাধারণত শীতকালে দেখা যায় [২]। বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এটি জলবায়ু পরিবর্তনের ফল [৩, ৪]।
মেরু স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারিক মেঘ ওজোন স্তরের ক্ষয়ে ভূমিকা রাখতে পারে [৪, ৫]। মেঘের পৃষ্ঠে রাসায়নিক বিক্রিয়া ক্লোরিন এবং ব্রোমিন পরমাণু নির্গত করে, যা ওজোন স্তরকে ক্ষতিগ্রস্ত করে [৪]। তবে, এই মেঘগুলি অতিবেগুনী বিকিরণ শোষণ করতেও পারে [১, ৬]।
এই ঘটনা বায়ুমণ্ডলীয় প্রক্রিয়া এবং জলবায়ুর উপর এর প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করবে [২, ৩]।