২০১৬ ও ২০১৭ সালে, আন্তার্কটিকার ওয়েডেল সাগরে একটি বিশাল পলিনিয়া বা খোলা জলক্ষেত্র দেখা দেয়, যা প্রায় ৪০,০০০ বর্গকিলোমিটার বিস্তৃত ছিল—যা সুইজারল্যান্ডের আকারের সমান। এই অদ্ভুত প্রাকৃতিক ঘটনা কয়েক সপ্তাহ স্থায়ী হয়, যা বৈজ্ঞানিক মহলকে গভীর চিন্তায় ফেলেছিল।
সায়েন্স অ্যাডভান্সেস পত্রিকায় প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণায় মাউড রাইজ পলিনিয়ার সৃষ্টি প্রক্রিয়ার রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। সমুদ্রের তলদেশ থেকে উষ্ণ ও লবণাক্ত জল উপরের দিকে উঠে বরফকে নিচ থেকে গলিয়ে দেয়, যা বায়ুর প্রবাহ ও উত্কণ্ঠাপূর্ণ স্রোতের দ্বারা আরও তীব্র হয়।
এই গবেষণা পলিনিয়াগুলোর মহত্ত্ব তুলে ধরে, যা মহাসাগরীয় সঞ্চালন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বোঝার জন্য আন্তার্কটিকার অধ্যয়নের অপরিহার্যতা প্রমাণ করে। দক্ষিণ এশিয়ার সমুদ্র ও পরিবেশের প্রতি আমাদের গভীর ভালোবাসা ও সাংস্কৃতিক গৌরবের সাথে মিল রেখে, এই প্রাকৃতিক রহস্য আমাদের প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীলতা ও বুদ্ধিমত্তা বৃদ্ধি করে।