জীবন, যেমনটা সবাই বলে, পথ খুঁজে নেয়। নেচার ইকোলজি অ্যান্ড ইভোলিউশন-এ প্রকাশিত একটি সাম্প্রতিক গবেষণা পৃথিবীর বুকে জীবনের বিতরণকে নিয়ন্ত্রণকারী একটি “সাধারণ নিয়ম” প্রকাশ করে।
ইউকে, সুইডেন এবং স্পেনের গবেষকরা বিভিন্ন বায়োমের বিভিন্ন জীবনরূপ পরীক্ষা করেছেন। এর মধ্যে উভচর, পাখি, ফড়িং, স্তন্যপায়ী প্রাণী, রশ্মি, সরীসৃপ এবং গাছ অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্রজাতিগুলির বিভিন্ন গতিশীলতা কৌশল থাকা সত্ত্বেও, গবেষণায় একটি ধারাবাহিক প্যাটার্ন পাওয়া গেছে।
নিয়মটি পরামর্শ দেয় যে কোনো স্থল বা সমুদ্র অঞ্চলে, বেশিরভাগ প্রজাতি ছোট অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত হয় এবং তারপরে বাইরের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। তারা যখন এই “হটস্পট” থেকে দূরে সরে যায়, তখন কম প্রজাতি টিকে থাকতে পারে।
এই প্যাটার্নটি “পরিবেশগত ফিল্টারিং”-এর ধারণার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ, যা প্রজাতি বিতরণের ব্যাখ্যা করার একটি মূল বাস্তুসংস্থানগত নীতি। গবেষণাটি অসংখ্য জীবের মধ্যে এবং বিশ্বব্যাপী এই নীতিটি নিশ্চিত করে।
এই কেন্দ্রীয় “নিউক্লিয়াস” প্রজাতিগুলির টিকে থাকা এবং বৈচিত্র্যের জন্য সর্বোত্তম পরিস্থিতি সরবরাহ করে, যা জীববৈচিত্র্যের উৎস হিসেবে কাজ করে। এই মূল অঞ্চলগুলির সুরক্ষা সংরক্ষণ প্রচেষ্টার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
একটি সর্বজনীন সাংগঠনিক পদ্ধতির অস্তিত্ব পৃথিবীর বুকে জীবন সম্পর্কে বোঝার জন্য গভীর প্রভাব ফেলে। এটি বিজ্ঞানীদের সময়ের সাথে জীবনের বৈচিত্র্য সনাক্ত করতে এবং বাস্তুতন্ত্র কীভাবে বিশ্বব্যাপী পরিবেশগত পরিবর্তনগুলির প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে সে সম্পর্কে ধারণা দিতে পারে।